সোডা অ্যাশ (কাপড় ধোয়ার সোডা) ঘোষণায় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়েছে আমদানি নিষিদ্ধ ১৮ টন ঘনচিনি (সোডিয়াম সাইক্লোমেট)।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড এলাকার কিউএনএস কনটেইনার সার্ভিসেস লিমিটেড নামের বেসরকারি আইসিডি থেকে ঘনচিনির চালানটি আটক করেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) এবং পোর্ট কন্ট্রোল অডিট (পিসিইউ) বিভাগের কর্মকর্তারা।
সাধারণ চিনির চেয়ে প্রায় ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি এই ঘনচিনি শরীরে ক্যানসার সৃষ্টির অন্যতম উপাদান বলে কাস্টম হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের এআইআর শাখার উপকমিশনার মো. সাইফুল হক শুক্রবার সন্ধ্যায় জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে কাস্টমস জানিয়েছে, চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট এলাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আরাফাত ট্রেডিং সোডা অ্যাশ ঘোষণা দিয়ে চায়না থেকে তিন কনটেইনার পণ্য আমদানি করে। ২৭ সেপ্টেম্বর কনটেইনার তিনটি চায়না থেকে জাহাজে করে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। পরে এসব পণ্য খালাসের জন্য ইপিজেড এলাকার কিউএনএস কনটেইনার সার্ভিসেস লিমিটেড নামের আইসিডিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরমধ্যে চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর এবং পিসিইউ শাখা চালানটিতে ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য আমদানির বিষয়ে নিশ্চিত হয়। কিন্তু কাস্টমস কনটেইনারগুলো নজরদারিতে রাখায় আমদানিকারক পণ্য খালাসের জন্য বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেনি। পরবর্তী সময়ে ১৯ অক্টোবর শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। এতে কনটেইনার তিনটির প্রত্যেকটি বস্তার উপরে সোডা অ্যাশ মুদ্রিত থাকলেও এতে ৬০ মেট্রিক টন বিভিন্ন ফুড গ্রেডের পণ্য পাওয়া যায়। এরমধ্যে ঘনচিনি, গুঁড়া দুধ, স্যাকারিন, সাইট্রিক এসিড রয়েছে।
এতে সোডা অ্যাশ পাওয়া গেছে মাত্র ১ মেট্রিক টন। চালানটিতে প্রায় এক কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা হয়েছিল বলে জানায় কাস্টমস।
কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার (এআইআর) মো. সাইফুল হক জাগো নিউজকে বলেন, সোডা অ্যাশ লাইট আমদানির ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রামের সদরঘাটের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আরাফাত ট্রেডিং ঘনচিনি, গুঁড়া দুধ, স্যাকারিনসহ বিভিন্ন ফুড গ্রেড পণ্য নিয়ে আসে। ঘনচিনি আমদানি নিষিদ্ধ। আমরা পণ্যগুলো জব্দ করেছি। আমদানির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।