সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৫ অপরাহ্ন

বাড়ির সবাই আমাকে ‘কামচোরা’ বলতো: আসলে আমি স্ট্রাগল করি না। স্ট্রাগল শব্দটায় বিশ্বাসও করি না। আমার পরিবার কখনও আমাকে বাজারেও পাঠাতে পারেনি। কখনও কোনও আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত দিতে যেতে হবে, তখন আমি পালিয়ে যেতাম। কারণ ওখানে যাওয়াটা আমার কাছে ফাও পরিশ্রম মনে হতো। আমি করতাম না এসব। এজন্য বাড়ির সবাই আমাকে ‘কামচোরা’ বলতো। বাকি সবাই করে, আমি করি না। অনেকেই আমাকে বলেন, আপনার ক্যারিয়ারে কোনো স্ট্রাগল আছে কিনা। আমি বলি নো স্ট্রাগল। পরিশ্রম করার লোকই আমি না। তবে হ্যাঁ, থিয়েটার করার জন্য আমি যদি ১০ মাইল হেটে যাই। এই হেটে যেতে যদি আমার আনন্দ লাগে তাহলে সেটাকে আমি স্ট্রাগল কেনো বলব। সুতরাং চরিত্রে ঢোকার মধ্যে স্ট্রাগল নেই। এটাকে আমি ভালোবাসা বলব।”

প্রতিবেদকের নামঃ
  • প্রকাশের সময়ঃ সোমবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৫৪ প্রদর্শন করেছেন

সেই সুবাদে রোববার সন্ধ্যা (১৪ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন করে সিনেমাটি বাংলাদেশে আমদানি করছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। সেখা উপস্থিত ছিলেন মোশাররফ করিম। ‘হুব্বা’সহ নানা বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মোশাররফ করিম।অভিনেতা মোশাররফ করিম। প্রায় সব ধরণের চরিত্রে মিশে যাওয়ার যে নিপুণ দক্ষতা তার, তা দর্শক-সমালোচক সবার কাছেই বিস্ময়কর। এপার বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে আগেই বিচরণ করেছেন ওপার বাংলার ওটিটি-সিনেমায়। কুড়িয়েছেন প্রশংসা। আগামী ১৯ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে ব্রাত্য বসু পরিচালিত এ অভিনেতার সিনেমা ‘হুব্বা’। ছবিটি একই দিনে বাংলাদেশের মুক্তি পাচ্ছে।দর্শক হিসেবে ‘হুব্বা’ ছবিটি বিচার করতে বলা হলে মোশাররফ করিম বলেন, ‘শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কোন কাজ ওইভাবে বলতে পছন্দ করি না যে এটা অসাধারণ হয়েছে। আমি ডাবিংয়ে যতটুকু দেখেছি তাতে আমার মনে হয়েছে দারুণ কাজ হয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল- আমার পরিচালক ও প্রযোজক দারুণ উচ্ছ্বসিত ‘‘হুব্বা’য় এতো নৃশংস চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার প্রসঙ্গে মোশাররফ করিম বলেন, ‘এই চরিত্রে ঢোকার ক্ষেত্রেও স্ট্রাগল ছিল না। যুদ্ধ করে তো চরিত্রকে জয় করা যায় না। এটাকে স্ট্রাগল না বলে ভালোবাসাই বলবো। ধীরে ধীরে, সময় নিয়ে ভালোবাসি।’আসলে আমি স্ট্রাগল করি না। স্ট্রাগল শব্দটায় বিশ্বাসও করি না। আমার পরিবার কখনও আমাকে বাজারেও পাঠাতে পারেনি। কখনও কোনও আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত দিতে যেতে হবে, তখন আমি পালিয়ে যেতাম। কারণ ওখানে যাওয়াটা আমার কাছে ফাও পরিশ্রম মনে হতো। আমি করতাম না এসব। এজন্য বাড়ির সবাই আমাকে ‘কামচোরা’ বলতো। বাকি সবাই করে, আমি করি না। অনেকেই আমাকে বলেন, আপনার ক্যারিয়ারে কোনো স্ট্রাগল আছে কিনা। আমি বলি নো স্ট্রাগল। পরিশ্রম করার লোকই আমি না। তবে হ্যাঁ, থিয়েটার করার জন্য আমি যদি ১০ মাইল হেটে যাই। এই হেটে যেতে যদি আমার আনন্দ লাগে তাহলে সেটাকে আমি স্ট্রাগল কেনো বলব। সুতরাং চরিত্রে ঢোকার মধ্যে স্ট্রাগল নেই। এটাকে আমি ভালোবাসা বলব।”

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ