দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত বিপুল পরিমাণ দেনা নিয়ে বিপাকে পড়েছে। একদিকে তারা টাকার অভাবে বেসরকারি কেন্দ্রগুলোকে বিদ্যুতের দাম যথাসময়ে দিতে পারছে না; অন্যদিকে মার্কিন ডলারের অভাবে বকেয়া রাখতে হচ্ছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিদেশি কোম্পানিগুলোর পাওনা।সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো থেকে পাওয়া সর্বশেষ হিসাবে, দেশে উৎপাদনরত বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাছে পাওনা প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। পিডিবি বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) কাছে গ্যাস বিল বকেয়া রেখেছে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা।সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো থেকে পাওয়া সর্বশেষ হিসাবে, দেশে উৎপাদনরত বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাছে পাওনা প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। পিডিবি বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) কাছে গ্যাস বিল বকেয়া রেখেছে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা।বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের নতুন মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী (মাস্টারপ্ল্যান ২০২৩-আইইপিএমপি), ২০৫০ সালে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা বেড়ে দাঁড়াবে ৭১ হাজার ৫১২ মেগাওয়াট, উৎপাদন-সক্ষমতা হতে পারে ১ লাখ ১১ হাজার মেগাওয়াট, যা চাহিদার চেয়ে ৫৫ শতাংশ বেশি।
এ পরিকল্পনায় শুধু গ্যাস নয়, বরং ক্লিন এনার্জির নামে জলবিদ্যুৎ আমদানিসহ সবুজ হাইড্রোজেন ও অ্যামোনিয়া আমদানিকে উৎসাহিত করা হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত আমদানিনির্ভর করে ফেলে রাখার বিদেশি পরিকল্পনা করা হয়েছে।স্পষ্টতই, ডলার-সংকটের কারণে ২০২২-২৩ সালে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় যে জ্বালানিসংকট (তেল, গ্যাস ও কয়লা আমদানি) হয়েছে, তা থেকে সরকার শিক্ষা নেয়নি।অত্যন্ত অদূরদর্শীভাবে মহাপরিকল্পনায় সৌরবিদ্যুৎ, বর্জ্যবিদ্যুৎসহ নবায়নযোগ্য অপরাপর কিছু বিদ্যুৎকে শুধু প্রাধান্যই দেয়নি, ব্যাটারি স্টোরেজকে শতভাগ বাদই দেওয়া হয়েছে।বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গতকাল শনিবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, কিছু সমস্যা আছে, তা সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিছু কিছু করে ডলার পাওয়া যাচ্ছে, যা দিয়ে বকেয়া শোধ করা হচ্ছে। বাকিটা অর্থ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করা হবে। তিনি বলেন, সরকার বন্ড দিয়ে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বকেয়া কিছুটা পরিশোধের ব্যবস্থা করেছে। বিদেশি পাওনা পরিশোধে তো ডলার লাগবে।