সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৭ অপরাহ্ন

বসন্তের পর ভালোবাসার পরস

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৪৩ প্রদর্শন করেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: “আজ পলাশ বনে ছড়িয়ে রংয়ের আগুন’ “ঋতুপরিক্রমায় ফিরে এলো ফাগুন’ “যেদিকে চাই শুধুই দেখি রংয়ের মেলা’ “বসন্ত অলিন্দে তাই করছে খেলা। আজ ফাল্গুনের দ্বিতীয় দিন একুশে বইমেলায় থাকবে ভালোবাসার পরশ। কারণ, দিনটি ভালোবাসার অর্থাৎ ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’। প্রেমিকযুগল হাতে হাত ধরে শহরে নানা জায়গায় ঘোরাঘুরি শেষে আসবেন বইমেলায়। মনের মানুষটিকে লাল গোলাপের সঙ্গে উপহার দেবেন প্রিয় লেখকের বই। এদিন মেলা রাঙাবে লাল রংয়ে। একুশের বইমেলায় থাকবে উৎসবের আমেজ।

বসন্ত মানেই সুন্দরের জাগরণ। নবীনের আগমন। চিরায়ত সুন্দর, ভালোবাসা আর যৌবনের প্রতীক এ বসন্ত। বসন্তের রোদেলা দুপুরে, মন উদাস করা খ্যাপা বাতাসে কিংবা মায়াভরা আবির ছড়ানো গোধূলিলগ্নে, বসন্ত বাতাসের স্নিগ্ধ পরশে প্রকৃতিতে আনন্দধারা বয়ে যায়। বসন্তের আগমনে হদয় পুলকিত আর আন্দোলিত হয় বলেই কবিরা আকাশে চোখ মেলে তাকাতেই যেন জ্বলে ওঠে আলো। আর তাই সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলতেই হয়-‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত।’

শুধু মেয়েরাই বা বলি কেন, ছেলেরা লাল-হলুদ, বাসন্তি রঙ পাঞ্জাবি আর ফতুয়ায় নতুন করে নিজেদের সাজিয়ে নেমে আসবে পথে পথে। ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস আর ফাগুন মিলে এই উৎসবে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বইমেলার প্রাণের উচ্ছাস। এ উচ্ছাস শুধু তরুণ-তরুণী নয়, সবার মনেই রঙ ছড়ায় কম-বেশি।

প্রকৃতির মাঝে বেড়ে ওঠা এ দেশের অসংখ্য নদী বিধৌত জনপদের কূলে কূলে যে সংস্কৃতি বিকশিত হয়েছে তার মধ্যে নিসর্গের রূপে সংস্কৃতির পালাবদলও ঘটেছে। বৈশাখ থেকে ফাগুন শুধুমাত্র ঋতু বৈচির্ত্য হিসেবে ধরা দেয় না এদেশের উৎসবপ্রবণ মানুষের মাঝে বরং সংস্কৃতির নব বাতায়নও খুলে দেয়। যান্ত্রিক এই শহরের নাগরিকরা রূপের ঋতু ফাগুনকে নিয়ে অন্তহীন প্রেমের পক্তি রচনা করে। ফাগুন আজ বাঙালির নব জাগরণের, প্রণোদনার সংস্কৃতি হয়ে ওঠেছে। প্রকৃতিতে যেমন হলুদের ছোঁয়া ক্রমশই বৃদ্ধি পায় ফাগুনে তেমনি নাগরিক পোশাকও রঙ বদলায় ফাগুনের রঙে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ