সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২২ অপরাহ্ন

বাগমারার মাছ যাচ্ছে সারাদেশে

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময়ঃ সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৪২ প্রদর্শন করেছেন

অনলাইন ডেস্ক : দেশি-বিদেশি মাছ চাষ ও রপ্তানি করে বিপুল অর্থ উপার্জন করছেন বাগমারায় মাছ চাষিরা । বর্তমানে মৎস্য চাষি ও বিপণন কাজে জড়িতরা এই খাতে প্রতি বছর ৭০০ কোটি টাকার বেশি আয় করছেন। এ ছাড়া মাছের হ্যাচারি থেকে শুরু করে মাছের উৎপাদন বিপণন ও পরিবহন পেশায় যুক্ত আছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। প্রতিদিন এ সংখ্যা বাড়ছে। বলা যায়, বাগমারার বেকার সমস্যার অনেকটাই সমাধান করছে এই মৎস্যখাত। উপজেলা মৎস্য অফিস ও মাছ চাষি সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে পুকুর-দিঘীতে মাছ চাষ করা হয়। কার্প ও মিশ্র প্রজাতির ২৫ হাজার মেট্রিক টন মাছ বিক্রি করে গত বছর আয় হয়েছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা।

স্থানীয় মৎস্য চাষিরা জানান, রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউস, সিলভার, ব্রিগেড, ব্লাক কার্প জাতের মাছ চাষ করা হয়। এ ছাড়া একইসঙ্গে প্রতিটি পুকুরে নিবিড় ও আধা নিবিড় দুই পদ্ধতিতে রুই, শিং, পাবদা, টেংরাসহ বেশ কয়েক প্রজাতির মাছ চাষ করা হয়। এর মধ্যে মিশ্র প্রজাতির সুস্বাসু পাবদা, শিং, পাঙ্গাস মাছ ভারতে রপ্তানি করা হয়। ভবানীগঞ্জের মৎস্য চাষি রহিদুল ও জব্বার জানান, তারা পোনা মাছ চাষ করেন না। নূন্যতম আধা কেজির ওপরে কার্প জাতীয় মাছ ছাড়া হয়। এসব মাছ ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে নূন্যতম তিন কেজি থেকে আট কেজি পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এ সব মাছ তারা ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করে থাকেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, ছোট বড় খাল-বিল-দিঘী-পুকুর মিলে ১০ হাজার হেক্টর জলাশয়ে মাছ চাষ করা হয়। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এখানে ১৮ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও প্রকৃত উৎপাদন হয়েছে ২১ হাজার মেট্রিক টনের ওপরে।

তিনি আরও বলেন, এখানে স্থানীয় চাহিদা ৭ থেকে ৮ হাজার মেট্রিক টন। অবশিষ্ট মাছ বিভিন্ন জেলাসহ পাশ্ববর্তী দেশ ভারতেও রপ্তানি হয়। তার মতে, বাগমারার মাটি, পানিসহ সার্বিক আবহাওয়া মাছ চাষের জন্য বেশ উপযোগী। তাই এখানে পরিকল্পনামাফিক মাছ চাষ করতে আরও বেশি উৎপাদন ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। স্থানীয় মৎস চাষি ও ব্যবসায়ীদের মতে, বাগমারায় মৎস্য চাষের বিশাল সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। এই সুযোগকে দীর্ঘস্থায়ী টিকসই করতে প্রয়োজন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। এখানে আধুনিক মানের মৎস আরোহণ, সংরক্ষণ ও বিপণন কেন্দ্র নেই। তাদের মতে এসব সুবিধা ছাড়াও মৎস্যখাতে জড়িতদের ব্যাংক ঋণ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে মৎস্যখাত আরও উন্নত হবে।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ