সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৯ অপরাহ্ন

শর্তসাপেক্ষে রফিকুল আমিনের জামিন

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময়ঃ বুধবার, ৬ মার্চ, ২০২৪
  • ৩৪ প্রদর্শন করেছেন
গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের দায়ে ১২ বছরের কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিনকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাসপোর্ট জমা রাখার শর্তে তাকে এক বছরের জামিন দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন। তবে একটি মামলায় জামিন না মেলায় তাকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবীবী মো. মোহাদ্দেস-উল-ইসলাম। দুর্নীতি দমন কমিশন -দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আইনজীবীবী মো. মোহাদ্দেস-উল-ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘১২ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানার বিরুদ্ধে রফিকুল আমিনের আপিল হাইকোর্ট শুনানির জন্য গ্রহণ করে ২০২২ সালের ২২ জুন। আর এ মামলায় ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর থেকে তিনি জেলে আছেন। সে হিসেবে প্রায় ১২ বছরের কারাদণ্ড তিনি খেটে ফেলেছেন। তাছাড়া এ মামলায় জামিন পেলেও তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না। কারণ ডেসটিনি ট্রিপ্লানটেশন লিমিটেডের বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের মামলার এখনো বিচার চলছে। এসব বিষয় বিবেচনায় পাসপোর্ট জমা রাখার শর্তে তাকে এক বছরের জন্য জামিন দেওয়া হয়েছে।’ বিচারিক আদালতে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে বলে জানান এই আইনজীবী। এ জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে কিনা জানতে চাইলে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘কমিশনকে জানিয়েছি। কমিশন চাইলে অবশ্যই আবেদন করা হবে।’ ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটির প্রায় ১ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে একযুগ আগে মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন -দুদক। মামলায় অভিযুক্ত ৪৬ আসামিকেই দোষী সাব্যস্ত করে ২০২২ সালের ১২ মে রায় দেন ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম। রায়ে ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিনসহ ৪৬ জনকেই বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করেন বিচারিক আদালত। এর মধ্যে রফিকুল আমিনকে ১২ বছর কারাদণ্ড এবং ২০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ বছরের সাজা দেওয়া হয়। আর হারুন-অর-রশীদকে ৪ বছর কারাদণ্ড এবং সাড়ে ৩ কোটি টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন বিচারক। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ৯ জুন হারুন-অর-রশিদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। এদিকে হারুন-অর-রশিদসহ ৪৫ আসামির সাজা বাড়াতে গত ১২ জুন হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক। হাইকোর্ট সে আবেদনটিও শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন। ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট হাইকোর্ট হারুন-অর-রশিদকে ছয় মাসের জামিন দেন। মামলার তথ্য অনুযায়ী, মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভের নামে ডেসটিনি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। সেখান থেকে ১ হাজার ৮৬১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। তাতে সাড়ে ৮ লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতির মুখে পড়েন। এদিকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের মামলাটির বিচার চলছে। গত বছর ২৯ অক্টোবর হাইকোর্ট মামলাটির বিচার এক বছরের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাতের এ মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে আছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ