বন্যায় ফেনী, কুমিল্লা ও নোয়াখালীতে মাঠপর্যায়ে কাজ করেছেন আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল নাঈম। উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে কাছ থেকে দেখেছেন মানুষের দুঃখদুর্দশা। তাঁর মনে হয়েছে, প্রতিবছর বন্যা এলেই একদল মানুষের ঘরবাড়ি ডোবে, আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হয়, মানবেতর জীবন কাটাতে হয়—এ সমস্যার একটা স্থায়ী সমাধান দরকার। ঢাকায় এসে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করেন তিনি—কী করা যায়! একপর্যায়ে পেয়ে যান ভাসমান বাড়ির ধারণা।
আবদুল্লাহ আল নাঈম বলেন, ‘অনেক আগেই ভাসমান বাড়ির ধারণা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু একে বাস্তব রূপ দিতে মাঠপর্যায়ে তেমন কোনো কাজ হয়নি। আরেকটু পড়াশোনা করে বুঝলাম বন্যার সময় ঘরের যে অংশ ভেসে থাকতে সাহায্য করে, পানি চলে যাওয়ার পর সেই অংশের উপাদান মেরামত করা প্রচুর ঝক্কির কাজ, ব্যয়বহুলও। সে জন্যই প্রক্রিয়াটা হয়তো আর এগোয়নি। তাই আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম, এমন একটি টেকসই বাড়ি তৈরি করব, যার নির্মাণব্যয় সাধারণ ঘরের কাছাকাছি হবে। স্বল্প রক্ষণাবেক্ষণে দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যাবে।’