সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০২ অপরাহ্ন

শেখ হাসিনার সাবেক মুখ্য সচিব ৭ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৯ প্রদর্শন করেছেন

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ও জামালপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ এবং মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবিরকে একটি হত্যা মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

রোববার (৬ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান রিমান্ডে নেওয়ার এই আদেশ দেন।

বিকালে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। পল্টন থানায় দায়ের করা যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তন্ময় কুমার বিশ্বাস প্রত্যেককে ১০দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেককে ৭ দিন করে মঞ্জুর করেন।

এর আগে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার একটি বাসায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আবুল কালাম আজাদকে গত শনিবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয়। হুমায়ুন কবিরকেও ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।

গত বছর ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন এবং পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে পল্টন এলাকায় নিহত হন যুবদল নেতা শামীম।

এ ঘটনায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ ৭০৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন শামীমের বাবা ইউসুফ মিয়া।

মামলায় বলা হয়, ২৮ অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ নস্যাৎ করা ও জাতীয় নেতাদের হত্যার জন্য মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে শান্তিনগর, কাকরাইল, প্রেসক্লাব, পুরানা পল্টন, শাহজাহানপুর, কমলাপুর, মতিঝিল, মালিবাগ, ফকিরাপুলসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা।

সেদিন রাত ১০টা পর্যন্ত হামলা চালানো হয়। এতে বিএনপির শত শত নেতা–কর্মী আহত হন এবং যুবদলের নেতা শামীমকে হত্যা করা হয়।

জাহাঙ্গীর আলম ছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতা মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরুল্লাহ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক সিমিন হোসেন রিমি, ওবায়দুল কাদের প্রমুখ এই মামলার আসামি।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, আবুল কালাম আজাদ ও হুমায়ুন কবির এই মামলার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটন এবং জড়িত অন্যান্য আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য তাদের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ