জাপানে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃত্বাধীন জোট পার্লামেন্ট নির্বাচনে ২১৫টি আসনে জিতেছে। তবে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ২৩৩টি আসন।
এলডিপির নতুন নেতা শিগেরু ইশিবা প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার আগেই এই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু নির্বাচনে তিনি বড় ধাক্কা খেলেন।
সোমবার তিনি জানিয়েছেন, ভোটদাতারা আমাদের কঠিন শাস্তি দিয়েছে। এই ফলাফল আমি মাথা পেতে নিচ্ছি। জাপানের মানুষ চাইছে, এলডিপি যেন আত্মসমীক্ষা করে। আমরা মানুষের ইচ্ছে অনুযায়ী কাজ করব।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা সোমবার জানিয়েছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকবেন। তিনি সংখ্যালঘু সরকার চালাবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমি মানুষের জীবন সুরক্ষিত করার জন্য আমার দায়িত্ব পালন করতে চাই। আমি জাপানকে সুরক্ষিত করতে চাই। আমি রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হতে দেব না।
৬৭ বছর বয়সী এই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ফান্ড কেলেঙ্কারির জন্য জনগণ তাদের শাস্তি দিয়েছে। মানুষ দেখেছে তহবিলের জন্য যে অর্থ তোলা হয়েছে, তা দলের নেতাদের পকেটে গেছে। তিনি জানিয়েছেন, আমি অর্থ ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার সংস্কার করতে আইন করব।
অন্যদিকে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিকো নোদার দল সিডিপি ১৪৮টি আসনে জিতেছে। গতবার তারা পেয়েছিল ৯৮টি আসন। ভোটের আগে নোদা বলেছিলেন, মানুষ সেরা দলকেই বেছে নেবে।
এবার নারী পার্লামেন্ট সদস্যের সংখ্যা বেড়েছে। ৭৩জন নারী পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তবে নারী সদস্যের সংখ্যা পার্লামেন্টের মোট সদস্য সংখ্যার ১৬ শতাংশের কম।