নিত্য প্রয়োজনীয় মসলা এবং ভেষজ ওষুধ হিসেবে আদা ব্যবহার হওয়ায় দাম বেশ চড়া।তাই পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে বাড়তি লাভের আশায় বস্তায় আদা চাষ শুরু করেছেন অনেকে। উত্তর জনপদের কৃষিনির্ভর জেলা গাইবান্ধা।এ জেলার চাষিরা অন্য ফসলের পাশাপাশি ধানের আবাদ বেশি করেন। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিভিন্ন অঞ্চলে বস্তায় আদা চাষ করছেন কৃষকরা। সাতটি উপজেলায় কৃষকদের মাঝে এই পদ্ধতিতে আদা চাষে আগ্রহ বেড়েছে। খুব সহজেই বাড়ির আশেপাশে, আঙিনা, ফল বাগান কিংবা গাছের নিচে ছায়াযুক্ত স্থানে চাষ করা যায় বলে কৃষক পর্যায়ে বস্তায় আদা চাষের সম্প্রসারণ ঘটছে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়,গত বছর জেলায় ৬৬ হাজার ৭৫টি বস্তায় আদা চাষ হলেও এবার তা বেড়েছে।জেলায় এ বছর ২৪৯টি ব্লকে ৯৭ হাজার ৫৮৮ বস্তায় আদা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৭ হাজার ৬০০ বস্তা, সাদুল্যাপুরে ১৪ হাজার ৮১৭, পলাশবাড়ীতে ২০ হাজার ২২৫, গোবিন্দগঞ্জে ৩০ হাজার ৩৪০, সুন্দরগঞ্জে ৯ হাজার ৪১৭, সাঘাটায় ১৪ হাজার ৬৮০ ও ফুলছড়িতে ৫০৯ বস্তায় আদা চাষ হয়েছে।
সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের হাসেম বাজার এলাকার কৃষক সাইদুর রহমান বলেন,অন্যান্য ফসল চাষের খরচের তুলনায় বস্তায় আদা চাষের খরচ অনেক কম।রোগবালাই,প্রাকৃতিক ঝুঁকি ও পরিচর্যা খরচও কম। আমি বাড়ির উঠানে ৪০০টি বস্তায় আদা চাষ করেছি। আশা করছি,যে খরচ হয়েছে, তার চেয়ে তিন গুণ বেশি লাভ হবে। গতবারের চেয়ে এবছর দাম বেশী পাওয়া গেলে লাভবান হওয়া যাবে।এতে আরও বড় পরিসরে আদা চাষের আগ্রহ বাড়বে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ খোরশেদ আলম বলেন,এ বছর জেলায় ২৪৯টি ব্লকে ৯৭ হাজার ৫৮৮ বস্তায় আদা চাষ হয়েছে। এ পদ্ধতিতে উৎপাদন ব্যয় তুলনামূলক কম। বস্তায় আদা চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। এছাড়া এতে পতিত জমির সর্বোত্তম ব্যবহারও বাড়ছে। বাড়ির আশপাশ, আঙিনা ও বিভিন্ন বাগানে গাছের নিচে ছায়াযুক্ত পতিত জমিতেও বস্তায় আদা চাষ করা যায়। আমরা কৃষকদের আদা চাষে আগ্রহী করতে সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।