মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ পূর্বাহ্ন

নবীগঞ্জে কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১০ প্রদর্শন করেছেন

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে মোস্তাকিন মিয়া (১৭) নামে এক কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নারী সংক্রান্ত বিষয়ে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি। তবে পুলিশ বলছে, তদন্ত শেষে দ্রুত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হবে।

রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের বসতঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মোস্তাকিন মিয়া পুরানগাঁও গ্রামের মৃত জফর মিয়ার ছেলে। মোস্তাকিন পেশায় রাজমিস্ত্রি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়-উপজেলার পুরানগাঁও গ্রামের মৃত জফর মিয়ার ৫ ছেলের মধ্যে নিহত মোস্তাকিন চতুর্থ, দুই ছেলে প্রবাসী ও অপর দুই ছেলে অন্যত্র কাজ করে। নিজ বাড়িতে মোস্তাকিম তার মা ও প্রবাসী দুই ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করে আসছিল। রোববার সন্ধ্যায় মৃত জফর মিয়ার শাশুড়ি অসুস্থ হওয়ায় জফর মিয়ার স্ত্রী বসতঘরে প্রবাসী দুই ছেলের দুই স্ত্রী ও ছেলে মোস্তাকিন মিয়াকে রেখে বাবার বাড়ি চলে যান। সন্ধ্যার দিকে নিজ বসতঘরের খাটে মোস্তাকিন মিয়া ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১০টার দিকে বাথরুমে যান মোস্তাকিন। পরে বাথরুম থেকে নিজ বসতঘরে প্রবেশের পর মোস্তাকিন মিয়ার চিৎকার শুনে দৌঁড়ে আসেন দুই ভাইয়ের স্ত্রী। পরে খাটের ওপর মোস্তাকিন মিয়ার গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন তারা। এ সময় আশপাশের স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন।

পরে খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মোস্তাকিন মিয়ার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেন।

এদিকে বসতঘরে গলাকেটে কিশোর মোস্তাকিনকে হত্যার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুরুল আমীন বলেন, আমরা চেয়ারম্যান সাহেবসহ একটি পাঞ্চায়েতে ছিলাম। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। ঘটনার সময় বসতঘরে মোস্তাকিন ও তার দুই ভাইয়ের দুই স্ত্রী ছিল। পুলিশ নিহত মোস্তাকিনের দুই ভাইয়ের স্ত্রীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

এ প্রসঙ্গে কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক চৌধুরী বলেন-নিজ বসতঘরে মোস্তাকিন নামে এক কিশোরকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ঘরে তখন শুধুমাত্র দুই ভাইয়ের দুই স্ত্রী ছিল।

তিনি বলেন, নারী সংক্রান্ত গোপন কোন ঘটনাকে কেন্দ্রে করে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হতে পারে।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছি। তাৎক্ষণিক বিস্তারিত বলা যাবেনা। হত্যাকাণ্ডের আগে-পরে যারা ঘটনাস্থলে ছিলেন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ