কবুতর হলো শান্তির প্রতীক। রাজা-বাদশারা আগের যুগে রাজপ্রাসাদে কবুতর পালন করতেন রাজ দরবারের বার্তা পাঠানোর জন্য। কবুতরের পায়ে বার্তা বেঁধে বাহকের কাছে পাঠানো হতো।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পৌর শহরের গোপালপুর মহল্লার কবুতরপ্রেমী এক শিক্ষিত মেয়ে বৈশাখী শখ করে বাসায় বিভিন্ন জাতের কবুতর লালন-পালন শুরু করেন। আর এতে তিনি এখন স্বাবলম্বী।
প্রান্তিক কৃষক মো. গোলাম রসুল গোলাপের ৩ মেয়ের মধ্যে বড় খাদিজাতুন কুবরা বৈশাখী বলেন, বাবা বাসায় গরু ছাগল ভেড়া হাঁস-মুরগি পালন করেন। বাবা আমাকে বাজার থেকে কয়েক জাতের কবুতর এনে দেন এবং ছোট্ট একটি ফার্ম তৈরি করে দেন। শখ করে ১০ জোড়া কবুতর দিয়ে ফার্ম চালু করলেও বর্তমান কবুতর সংখ্যা প্রায় ২৫০টি।
তিনি বলেন, ফার্মে এখন বাংলা গিরিবাজ রেসার সিরাজী, ঘিয়াচুন্নী, মোশালদমসহ বিভিন্ন প্রকারের কবুতর রয়েছে। প্রতিদিন দুবার কবুতরগুলো ১২ থেকে ১৫ কেজি পরিমাণ ধান চাল ভুট্টা গম অথবা সরিষা খায়। মাসে ৪০-৫০ হাজার টাকার কবুতর বিক্রয় করি।
বৈশাখীর বাবা গোলাপ বলেন, কবুতরগুলোর পরিচর্যা মেয়ের পাশাপাশি আমিও একটু করি। অন্যান্য পশু-পাখি পালনে যেমন পরিশ্রম করতে হয় কবুতর পালনে তেমন পরিশ্রম হয় না। সকাল-বিকাল একটু খাবার দিলেই হয়। মেয়েকে ১০ জোড়া কবুতর বাজার থেকে এনে দিয়েছিলাম বর্তমানে ২ শতাধিক কবুতর খামারে হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাসান আলী, কবুতর পালন শখের বিষয় হলেও কিন্তু লাভজনক।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীরা চাকরির আশায় বসে না থেকে ছোট-বড় ফার্ম করে বিভিন্ন পশু লালন-পালন করা উচিৎ। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হয় বলেও জানান তিনি।