পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ২০২৩ সালের ৯ মে‘র সহিংসতার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৮টি মামলায় তার জামিনও বাতিল করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) লাহোরের একটি সন্ত্রাসবাদবিরোধী আদালত (এটিসি) এই রায় দিয়েছে।
এদিন লাহোর এটিসি-এর বিচারক মানজার আলি গিল একটি লিখিত রায়ে উল্লেখ করেছেন,
ইমরান খানের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার মধ্যে অডিও এবং ভিডিও রেকর্ডিং রয়েছে। যা তার সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার ভূমিকা প্রমাণ করে।
তিনি আরও বলেন, জামান পার্ক ষড়যন্ত্রের সাক্ষীরা তাদের সাক্ষ্য দিয়েছেন। যেখানে অভিযোগ করা হয় যে, ইমরান তার সমর্থকদের সহিংসতায় উসকে দিয়েছিলেন।
প্রমাণে বলা হয়, ইমরান খান তার গ্রেফতারের সম্ভাবনা দেখা দিলে রাষ্ট্রযন্ত্রে বিঘ্ন ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিলেন।
প্রসিকিউশন দাবি করেছে, ইমরান খানের পরিকল্পনায় সামরিক স্থাপনা, সরকারি ভবন এবং পুলিশ স্টেশনের ওপর আক্রমণ অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০২৩ সালের ১১ মে পুলিশ অফিসারদের ওপর সহিংসতার ঘটনা তার নির্দেশনাতেই ঘটেছিল। কিছু গোপন পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্যে তাদের এ ষড়যন্ত্রের বিষয়ে আলোচনার তথ্য উঠে এসেছে।
তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী যুক্তি দেন যে, সহিংসতার সময় ইমরান খান ইতোমধ্যেই হেফাজতে ছিলেন। সেই সঙ্গে অভিযোগে উল্লেখিত ষড়যন্ত্রের সুনির্দিষ্ট তারিখ, সময় বা স্থানের উল্লেখ করা হয়নি।
তবে আদালত তার এ যুক্তি খারিজ করে দিয়ে বলেন, প্রমাণ সাপেক্ষে ষড়যন্ত্রটি ৭ মে থেকে ৯ মে’র মধ্যে জামান পার্কে পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
মামলায় ইমরান খানের জামিন বাতিল করে আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ইমরান খানের জামিন বাতিল হওয়ার ফলে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান থাকবে। লাহোর হাইকোর্টও এই ষড়যন্ত্রের বিষয়ে পূর্বে আলোচনা করেছে।
এদিকে লাহোর আদালতের এই রায় ইমরান খানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং পাকিস্তানের রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন