টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার নাম ব্যাটিং। দীর্ঘ ফরম্যাটের এই ক্রিকেটে যেখানে একজন ব্যাটারকে হতে হয় শট সিলেকশনে পাকা, দেখাতে হয় ধৈর্য ও আত্মসংযম। সেখানে ভুল শট নির্বাচনে অনেকটা যেচে উইকেট দিয়ে আসেন বাংলাদেশি ব্যাটাররা। যার দায় চোকাতে হয় দলকে।
অ্যান্টিগায় স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে হারের পর এ অবস্থায় দ্বিতীয় টেস্টে কী ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বাংলাদেশ? পরিবর্তন আসবে কী ব্যাটিংয়ের ধরণে? বদল আসবে কী একাদশে? এসব নিয়ে যখন প্রশ্নের শেষ নেই; তখন একাদশে যে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে তা এক রকম নিশ্চিত-ই বলা চলে।
অবশ্য একাদশে পরিবর্তন করেও লাভের আশা করা কঠিনই। কেননা, স্কোয়াডে থাকা সাদমান ইসলাম প্রথম ম্যাচে সুযোগ পাননি এই রান না করার কারণেই। তাছাড়া সদ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ওপরও খুব বেশি নির্ভর করা যায় না। তবে তরুণ ব্যাটার শাহাদাত হোসেন দীপুর জায়গায় এ দু’জনের একজনকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এছাড়াও একাদশে পরিবর্তন আসতে পারে। প্রথম ম্যাচে না খেলা পেসার নাহিদ রানাকে ফেরানো হতে পারে এ ম্যাচে। উইকেট ও কন্ডিশন বিবেচনায় চার পেসারকে দেখা যেতে পারে এই টেস্টে। আর সেটি যদি হয়, তাহলে তাইজুলের জায়গায় তাকে দেখা যেতে পারে।
অবশ্য বোলিং নিয়ে বাংলাদেশের যত না দুশ্চিন্তা। তার চেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা ব্যাটিং নিয়ে। তাই তাইজুলকে রেখে ব্যাটিংয়ে গতি আনা হলেও সেটাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একদাশ: মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, মুমিনুল হক, লিটন কুমার দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), জাকের আলী, মাহিদুল ইসলাম, নাহিদ রানা, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ।