টালিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় স্পষ্টভাবে নিজের মতামত রাখতে পছন্দ করেন । ইন্ডাস্ট্রিতে তার নামের আগে রয়েছে ‘সাহসী’ তকমা। মন খারাপের কথাও নির্দ্বিধায় বলতে পারেন তিনি। প্রায়ই তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাতায় বাবা-মায়ের স্মৃতিচারণ ধরা পড়ে এ অভিনেত্রীর। আবার স্মৃতিতে ভরা বাড়ির পুরোনো জিনিসকে বিদায় জানাতেও হৃদয়ে কষ্ট হয়। অভিনেত্রী যে আবেগপ্রবণ, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই ভক্ত-অনুরাগীদের।
গতকাল শনিবার (৩০ নভেম্বর) মেঘলা দিনে ফের একটি আবেগঘন পোস্ট করলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। বিয়েবাড়ির পুরনো স্মৃতি খুজে পেলেন তিনি। বিয়েবাড়ির এ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে অভিনেত্রী লিখলেন—চারদিকে এত বিয়েবাড়ি। আমাদেরও একটা বিয়েবাড়ির ছবি খুঁজে পেলাম।
পরনে লাল-সাদা ঢাকাই জামদানি শাড়ি। মাথার খোঁপায় ফুল। কপালে বড় লাল টিপ— মা। ঠিক তার পাশেই বসে আছেন কিশোরী স্বস্তিকা। একই ভঙ্গিতে বসে তিনি। অভিনেত্রী নিজেই লিখেছেন— ছোট থেকেই মায়ের মতোই হতে চেয়েছেন তিনি।
ছোটবেলার সেই ছবির সঙ্গে স্বস্তিকা লিখেছেন— মায়ের মতো দেখতে লাগবে, জীবনে আমার একমাত্র উদ্দেশ্য। মায়ের মতো চুল হবে, মায়ের মতো বসব, কথা বলব— মায়ের ছায়া হয়ে বাঁচব। শৈশবের দিন নিয়ে অভিনেত্রীর আক্ষেপ— ছোটবেলাটা বেশ ছিল, হঠাৎ কবে যেন বড় হয়ে গেলাম।
কিছু দিন আগেই বাড়ির পুরোনো মাইক্রো ওভেনকে বিদায় জানাতে গিয়েও আবেগঘন পোস্ট করেছিলেন তিনি।
ভারাক্রান্ত মন নিয়ে স্বস্তিকা লিখেছিলেন— গত এক বছরেও নানাভাবে জানান দিয়েছে, ওর চলে যাওয়ার সময় আসন্ন। তা-ও আমি সব কিছু দিয়ে চেষ্টা করেছি ওকে আটকে রাখার। তিনি বলেন, বারবার ভেবেছি, আহা রে! মা কত উৎসাহ নিয়ে ওকে বাড়ি এনেছিল। কত রকম নতুন পদ্ধতিতে রান্না করে খাওয়াত। চার বেলা আর ঘামতে ঘামতে গ্যাসে খাবার গরম করতে হবে না। এ নিয়ে মা যতটা উৎফুল্ল ছিল, কোথাও যেন এই মেশিনটা মায়ের সব অনুভূতিকে নিজের মধ্যে আটকে রাখতে সক্ষম হয়েছে।