পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রী বুশারা বিবির বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন পাকিস্তানের আদালত। পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক বর্তমানে কারাবন্দি জীবনযাপন করছেন।
ইমরান খান আর বুশরা বিবিই নন, ইমরান খানের রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) বিভিন্ন পর্যায়ের ৯৩ নেতার বিরুদ্ধেও জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এ তালিকায় আছেন- খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপোর, পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভী, পার্লামেন্টের সাবেক স্পিকার আসাদ কায়সার, পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান গহর খান, পাকিস্তানের পার্লামেন্টের বিরোধী দলীয় নেতা ওমর আইয়ুব খানসহ অনেকে।
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ পুলিশ মোট ৯৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানিয়েছিল। তাদের মধ্যে থেকে ৩ জনকে বাদ দিয়ে বাকি ৯৩ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা ইস্যু করেছেন আদালত।
বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে পাকিস্তানের পাঞ্জাব রাজ্যের আদিয়ালা কারাগারে রয়েছেন ইমরান খান। তার স্ত্রী বুশরা বিবি আলোচিত তোশাখানা মামলার আসামি হিসেবে ৯ মাস কারাবাসের পর গত নভেম্বরে জামিন পেয়েছেন।
বুশরা জামিন লাভের অল্প কিছু সময়ের মধ্যে ইমরান খানের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী বাতিলের দাবিতে গত ২৪ নভেম্বর ইসলাসাবাদ অভিমুখে রওনা দেন পিটিআইয়ের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
২৭ নভেম্বর মঙ্গলবার তারা ইসলামাবাদের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ডি-চকে এসে পৌঁছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু করেন। সেখানে পুলিশ ও পাকিস্তানের আধাসামরিক বাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
পিটিআইয়ের নেতারা জানিয়েছেন, ২৭ নভেম্বরের সংঘর্ষে পিটিআইয়ের ১২ জন কর্মী-সমর্থক নিহত হয়েছেন। তবে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আলী আমিন গান্দাপোর এবং বুশরা বিবি ব্যতীত দলের অন্য কোনো নেতাকে দেখা যায়নি। ২৭ তারিখ কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন বুশরা বিবি।