দক্ষিণী অভিনেতা নাগা চৈতন্য দ্বিতীয়বারের মতো বিয়ে করেছেন। অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটিয়ে এবার অভিনেত্রী শোভিতা ধূলিপালার সঙ্গে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন। গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) পরিবার, আত্মীয় এবং কাছের বন্ধুদের উপস্থিতিতে চার হাত এক হয় নাগা-শোভিতার! সোনালি সাজে একসঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করেছেন এ নবদম্পতি। অন্নপূর্ণা স্টুডিওতে বিয়ে সারেন এ তারকা জুটি।
কিন্তু এরই মধ্যে সমালোচনার পাত্র হয়ে উঠলেন নাগা চৈতন্যের বাবা ও দক্ষিণী অভিনেতা নার্গাজুন আক্কিনেনি। পুত্রবধূর ঘাড় থেকে চুল সরানোর কারণে নাগার্জুনের বিরুদ্ধে একহাত নিয়েছেন নেটিজেনরা।
তবে অনেক আগে থেকেই নাকি পুত্রবধূ শোভিতা ধূলিপালার সৌন্দর্যে কুপোকাত ছিলেন শ্বশুর নার্গাজুন। যদিও তখনো তিনি জানতেন না পরে শোভিতাই তার পুত্রবধূ হবেন। তেলেগু ছবি ‘গুড়াচারি’-তে অভিনয় করেছিলেন শোভিতা। ছবিটি সফল হওয়ার পর একটি অনুষ্ঠানে তখন শোভিতাকে ‘হট’ বলে সম্বোধন করেছিলেন অভিনেতা নাগার্জুন। সেই অনুষ্ঠানে শোভিতা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে নাগার্জুন বলেন, ‘শোভিতা ধূলিপালাকে সত্যিই দারুণ লেগেছে এ ছবিতে। আমার বলা উচিত নয়, তা-ও বলব— ও সত্যিই আবেদনময়ী। একজন পুরুষ যেমন নারী কল্পনা করেন, তেমন নারীই শোভিতা।’
তখন অবশ্য অভিনেতা জানতেন না, ভবিষ্যতে শোভিতাই তার পুত্রবধূ হবেন। এবার বিয়ের পর ছেলে ও পুত্রবধূকে নিয়ে মন্দিরে পূজা দিতে গিয়ে পুত্রবধূর ঘাড়ের কাছের চুল সরিয়ে দিতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনদের জোর জল্পনা নাগার্জুনকে নিয়ে।
মন্দির দর্শনে গিয়ে পুত্রবধূকে তিলক পরানোর সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন শ্বশুর নাগার্জুন। শোভিতার ঘাড়ের কাছে চুল সরিয়ে দিয়ে পুত্রবধূকে সাহায্য করতেই নেটিজেনরা সমালোচনা করেছেন। এক নেটিজেন লিখেছেন— কার স্ত্রী বোঝা যাচ্ছে না। আরেক নেটিজেন লিখেছেন— এরা এদের বাবাকে ছাড়া কোথাও যান না কেন?
আসলে শোভিতা-নাগার বাগদানের খবর প্রকাশ্যে এনেছেন বাবা নাগার্জুন। এমনকি বিয়ের পরও শোভিতাকে পরিবারের স্বাগত জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লম্বা পোস্ট করেন অভিনেতা নাগার্জুন। তবে অভিনেতার মন্দিরের ঘটনা অনেকেই ভালো চোখে দেখেননি।
উল্লেখ্য, এর আগে অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর সঙ্গে চার বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটিয়ে অভিনেত্রী শোভিতা ধূলিপালার সঙ্গে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন নাগা চৈতন্য। তার আগে আগস্ট মাসে বাগদান পর্ব সেরেছিলেন নাগা চৈতন্য ও শোভিতা ধূলিপালা।