লক্ষ্মীপুরে গ্রিণ লিফ ফিলিং স্টেশনে আবারো গ্যাস রিফিলের সময় একটি বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আবুল কালাম (২১) নামে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে আরও ৩ জন আহত হয়েছেন। বুধবার ভোরে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ইসলাম মার্কেট এলাকায় ফিলিং স্টেশনটিতে আল মদীনা নামে একটি লোকাল বাসে গ্যাস রিফিলের সময় ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এর আগে ১৪ অক্টোবর একই ফিলিং স্টেশনে অন্য একটি বাসের সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিলের সময় বিস্ফোরণ ঘটে ৩ জন নিহত হয়। ওইদিন আরও ৯ জন আহত হয়েছে। এরমধ্যে একজনের একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
নিহত কালাম লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের সাহাপুর এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে ও পেশায় রঙ মিস্ত্রি।
আহতরা হলেন-নোয়াখালীর কবির হাট এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন (৫০) ও লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের সাহাপুর এলাকার নাঈমসহ (২৪) তিনজন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় গ্রিণ লিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে আল মদীনা নামের লোকাল বাসটি (চট্ট মেট্টো-ঝ ১১-১৯৩০) গ্যাস রিফিল করছিল। হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে বাসের গ্যাস সিলিন্ডার ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় চারদিক ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মাথার খুলি উড়ে গিয়ে কালাম মারা যায়। বিস্ফোরণের ঘটনায় ছুটোছুটি শুরু করেন আশপাশের লোকজন, সিএনজি অটোরিকশা চালক ও ফিলিং স্টেশনের কর্মচারীরা। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের লোকজন নিহতের লাশ ও আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতাল ভর্তি করে। নিহতের স্বজনদের হাসপাতালে আহাজারি করতে দেখা যায়। আহত দুইজনকে নোয়াখালী ও একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন বলেন, বিস্ফোরণে মাথার খুলি উড়ে গিয়ে একজন মারা গেছেন। তার লাশ হাসপাতালের মর্গে আছে। আহতদের শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম রয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে ঢাকায় ও অন্য দুইজনকে নোয়াখালী হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
গ্রিণ লিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার আল আমিন ঘটনার বলেন, বাসটির সিলিন্ডার ত্রুটিযুক্ত ছিল। এজন্য বিস্ফোরণ ঘটেছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, একই ফিলিং স্টেশনে এর আগেও গ্যাস রিফিলের সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ওই মামলা এখনো চলমান। এখন আবার বিস্ফোরণের ঘটনায় একজন মারা গেছে ও ৩ জন আহত হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।