লক্ষ্মীপুরে গ্রিন লিফ ফিলিং স্টেশনে গ্যাস রিফিলের সময় বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত চালক মো. রুবেলেরও মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দুইজনে দাঁড়িয়েছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ১৪ অক্টোবর একই ফিলিং স্টেশনে অন্য একটি বাসের সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিলের সময় বিস্ফোরণ ঘটে ৩ জন নিহত হন।
নিহত রুবেল রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের জমিদারহাট এলাকার চরসীতা গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে ও দুর্ঘটনাকবলিত আল মদীনা বাসের চালক ছিলেন। অপর নিহত কালাম লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের সাহাপুর এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে ও পেশায় রঙ মিস্ত্রি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় গ্রীণ লীফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে আল মদীনা নামের লোকাল বাসটি (চট্ট মেট্টো-ঝ ১১-১৯৩০) গ্যাস রিফিল করছিল। হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে বাসের গ্যাস সিলিন্ডার ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এসময় চারদিক ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মাথার খুলি উড়ে গিয়ে কালাম মারা যায়। বিস্ফোরণের ঘটনায় ছুটোছুটি শুরু করেন আশপাশের লোকজন, সিএনজি অটোরিকশা চালক ও ফিলিং স্টেশনের কর্মচারীরা। পরে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় ফায়ার সার্ভিসের লোকজন নিহতের মরদেহ ও আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতাল ভর্তি করে।
চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) মাঈন উদ্দিন বলেন, লক্ষ্মীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় রুবেল মারা গেছে। শুনেছি তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে এসেছে। গ্রিন লিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার আল আমিন বলেন, বাসটির সিলিন্ডার ত্রুটিযুক্ত ছিল। এজন্য বিস্ফোরণ ঘটেছে।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন বলেন, বিস্ফোরণে মাথার খুলি উড়ে গিয়ে একজন মারা গেছেন। তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে আছে। আহতদের শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম রয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে ঢাকায় ও অন্য দুইজনকে নোয়াখালী হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে আরও একজন মারা যায়।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, একই ফিলিং স্টেশনে এর আগেও গ্যাস রিফিলের সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ওই মামলা এখনো চলমান। এখন আবার বিস্ফোরণের ঘটনায় ২ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।