রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন

প্রেমে রাজি না হওয়ায় শ্যালিকাকে তিন টুকরা করলেন ভগ্নিপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১১ প্রদর্শন করেছেন

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শ্যালিকাকে হত্যার পর দেহ তিন টুকরা করে শহরের বিভিন্ন স্থানে ফেলে দিলেন দুলাভাই। কলকাতার টালিগঞ্জের কাছে গল্ফগ্রিন এলাকায় রোমহর্ষ এ ঘটনা ঘটেছে।

ইতোমধ্যে হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবারের বাসুলডাঙ্গা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। খবর এনডিটিভির।

শুক্রবার সকালে কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এলাকায় একটি পলিথিন ব্যাগে ছিন্ন মস্তক পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন তারা।

পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কাটা মস্তকটি উদ্ধার করে। এরপর অন্য দুটি স্থান থেকে শরীরের অন্য দুই অংশ উদ্ধার করা হয়। মস্তকের আঘাতের চিহ্ন ও তাজা রক্তের উপস্থিতি দেখে পুলিশের অনুমান, ওই নারীকে হত্যার পর ১২ ঘণ্টার মধ্যেই মস্তকটি ওই স্থানে ফেলা হয়েছিল।

সিসিটিভি ফুটেজ ও এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী পুলিশ জানতে পারে, হত্যার শিকার নারীর নাম খাদিজা। তিনি টালিগঞ্জের একটি বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। সম্প্রতি খাদিজার প্রতি দুলাভাই আতিউর রহমান লস্কর ‘অস্বাভাবিক’ আগ্রহ দেখাচ্ছিলেন। আতিউর পেশায় নির্মাণশ্রমিক ছিলেন।

এনডিটিভি জানায়, খাদিজা ও তার দুলাভাই আতিউর একসঙ্গে কাজে যাতায়াত করতেন। দুই বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় ওই নারীর। আতিউর তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। কিন্তু খাদিজা তাকে প্রত্যাখ্যান করে দেন। একপর্যায়ে আতিউরের সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ করে দেন ও ফোন নম্বর ব্লক করে দেন। এতে আতিউর ক্ষুব্ধ হয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় আতিউর খাদিজাকে জোর করে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যান। সেখানে খাদিজাকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করেন আতিউর। পরে শ্যালিকার শিরশ্ছেদ করেন ও দেহ তিন টুকরা করেন এই নির্মাণশ্রমিক। পরে মরদেহের টুকরাগুলো আলাদা আলাদা স্থানে ফেলে দেন আতিউর।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ