শহিদ মিনারে বিজয় দিবসের ফুল দিতে গিয়ে বিএনপি-যুবদলের দুই গ্রুপের মারামারি করেছে। এতে প্রায় ২৫ ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বিজয় দিবসের দিন দাঁতভাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শহিদ মিনারে ফুল দিতে উপস্থিত হন রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদল ও বিএনপির লোকজন।
শহিদ মিনারে বিএনপির ফুলের তোড়া দেওয়া হলে যুবদলের লোকজন ফুলের তোড়া দিতে যান। এ সময় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সফিয়ার রহমান ও তার লোকজন যুবদলের লোকজনকে শহিদ মিনারে ফুলের তোড়া দিতে বাধা দেন।
কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হলে ছিঁড়ে ফেলা হয় ফুলের তোড়া। পরে তৃতীয় পক্ষের সহায়তায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ ব্যাপারে বিএনপি সভাপতি সফিয়ার রহমান বলেন, ওরা যুবদলের কেউ নয়। দলে বিশৃঙ্খলা তৈরির লক্ষ্যে বাদশা মিয়াসহ কয়েকজন উদ্দেশ্যপ্রণোদিভাবে ফুল দেওয়ার নাটক করেছে। তাই তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে।
রৌমারী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, শহিদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় তোড়া ছিঁড়ে ফেলার বিষয়টি দুঃখজনক। সেটা যেই করুক আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এ বিষয়ে দুই-এক দিনের মধ্যে দলীয় ফোরামে বিচার চাওয়া হবে।
রৌমারী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, কী কারণে ফুলের তোড়া ভেঙে ফেলা হয়েছে তার কৈফিয়ত চাওয়া হবে। দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।