বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে টাঙ্গাইলের মধুপুর থানার একটি নাশকতা মামলায় গ্রেফতার হন ভূঞাপুরের রাকিবুজ্জামান খান বাবু নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। তবে ছেলের জামিন হয়নি শুনে স্ট্রোক করে মারা যান রাকিবুজ্জামান বাবুর বাবা আবুল হোসেন খান।
পরে ৪ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার জানাজায় অংশ নেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের রাকিবুজ্জামান খান বাবু। তিনি উপজেলার অলোয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক।
এদিকে হাতকড়া অবস্থায় জানাজায় অংশ নেওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
রাকিবুজ্জামান বাবুর বাবা আবুল হোসেন খান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন এবং তার মা ফৌরদোসী খানম উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
বাবুর ছোট ভাই রাফিউজ্জামান খান জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে টাঙ্গাইলের মধুপুর থানার একটি নাশকতা মামলায় ভূঞাপুর থানা পুলিশ গত ১৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে ভাইকে আমাদের নিজ গ্রাম বরকতপুর মোড় থেকে আটক করে মধুপুর থানায় প্রেরণ করে।
এরপর মধুপুর থানা পুলিশ তাকে নাশকতার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পর দিন ১৪ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল আদালতে পাঠালে ওই দিন আদালত না বসায় পুলিশ তাকে জেল হেফাজতে রাখে। ১৫ ডিসেম্বর আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
এ খবরে আমার বাবা অ্যাডভোকেটের সঙ্গে কথা বলে জামিন নামঞ্জুরের সংবাদ শুনে স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন। পর দিন ১৬ ডিসেম্বর দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় অংশ নেন।
এ ঘটনায় হাতকড়া অবস্থায় ওই আওয়ামী লীগ নেতা বাবুর জানাজায় অংশ নেওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
মধুপুর থানার ওসি এমরানুল কবীর জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নাশকতার মামলায় ভূঞাপুরের অলোয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা রাকিবুজ্জামানকে গ্রেফতারের পর গত ১৪ ডিসেম্বর তাকে টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করা হয়। তার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি জানা নেই।