রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যে রাশিয়ার আরও আগেই ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করা উচিত ছিল এবং যুদ্ধের জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন ছিল।
বছরের শেষ সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার পুতিন বলেন, পেছনে তাকিয়ে মনে হয়, ২০২২ সালের আক্রমণের জন্য ব্যবস্থাগত প্রস্তুতি থাকা দরকার ছিল।
ওই আক্রমণকে তিনি অবশ্য বিশেষ সামরিক অভিযান হিসেবে বর্ণনা করেন।
রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করে এবং পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থী বাহিনী সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এর আট বছর পর পুতিন কিয়েভ দখলের চেষ্টা করেন।
চার ঘণ্টার সংবাদ সম্মেলনে পুতিন সিরিয়ার অপসারিত নেতা, রাশিয়ার আরও আক্রমণাত্মক পারমাণবিক নীতি এবং অভ্যন্তরীণ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। সংবাদ সম্মেলনটি রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন টিভি চ্যানেল সম্প্রচার করে।
এদিন সংবাদ সম্মেলনে পুতিন একটি বড় নীল পর্দার সামনে হাজির হন, যেখানে রাশিয়ান ফেডারেশনের একটি মানচিত্র প্রদর্শন করা ছিল। ওই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অংশও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
তিনি সাধারণ নাগরিক, বিদেশি সাংবাদিক এবং পেনশনধারীদের কাছ থেকে প্রশ্ন নেন। তবে এটি ছিল একটি অত্যন্ত পরিকল্পিত এবং কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত অনুষ্ঠান।
বিবিসির রাশিয়া সম্পাদক স্টিভ রোজেনবার্গ পুতিনের কাছে জানতে চান, ২৫ বছর আগে বরিস ইয়েলৎসিন রাশিয়াকে যেখানে রেখে গিয়েছিলেন, সেই তুলনায় দেশ কি আরও ভালো অবস্থায় রয়েছে?
জবাবে পুতিন বলেন, রাশিয়া তার ‘সার্বভৌমত্ব’ পুনরুদ্ধার করেছে। তিনি বলেন, এর আগে যা ঘটছিল, তাতে রাশিয়া সম্পূর্ণভাবে সার্বভৌমত্ব হারানোর পথে ছিল।
সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন নিয়ে জানতে চাইলে পুতিন অনেকটা জোর দিয়েই বলেন, এটি ক্রেমলিনের পরাজয় নয়। পরিস্থিতি ‘জটিল’ হয়ে পড়েছিল।
চলতি মাসের শুরুর দিকে বাশার আল-আসাদ দামেস্ক ছেড়ে পালিয়ে মস্কোয় আশ্রয় নেন। পুতিন জানান, এখনো আসাদের সঙ্গে তার কথা হয়নি। তবে শিগগিরই কথা বলার পরিকল্পনা রয়েছে।