মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার এ তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক আনিসুর রহমান জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সকাল ৯টায় রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে, এতে করে শীত বাড়বে এবং মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
তাপমাত্রা কম থাকলেও মৌলভীবাজারে সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিলেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের প্রকোপ অনেকটা কমতে শুরু করে। পুনরায় সন্ধ্যার পর হিমেল হাওয়া ও শীতের প্রকোপ বাড়ে। তবে শহর এলাকায় তাপমাত্রা একটু বেশি থাকলেও গ্রাম ও চা বাগানে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়। ঠান্ডার সঙ্গে হিমেল বাতাসের কারণে বিপাকে পড়েন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষেরা।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘নানা বয়সি মানুষ সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া নিয়ে আসেন। হাসপাতালে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেক রোগী। তার মধ্যে চা-বাগানের শ্রমিক ও হাওর এলাকার নিম্নআয়ের মানুষরা বেশি।’
মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন মামুনুর রহমান বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো শীতজনিত রোগে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালসহ উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে ভর্তি কম হলেও বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন নানা বয়সি রোগী।’