ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে ১৩ বাংলাদেশি আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিজিবি সিলেটের ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফিজুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ১৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফ গ্রেপ্তার করেছে। এ বিষয়ে বিজিবির ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের সঙ্গে ভারতের ৪ বিএসএফের কমান্ড্যান্ট আলোচনা করেছেন। বিএসএফ জানিয়েছে, গত সোমবার রাত চারটার দিকে বাংলাদেশের তামাবিল এলাকার বিপরীত দিকে ভারতের ডাউকি এলাকার আনুমানিক ৫০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে ১৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালানের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিএসএফ ডাউকি থানায় হস্তান্তর করে।
এর আগে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রথম আলোকে জানানো হয়েছিল, বিএসএফের হাতে ১৩ জন বাংলাদেশি নাগরিকের আটকের বিষয়ে তাঁদের কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করেনি। তবে বিজিবি স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে ঘটনা শুনেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতে আটক ১৩ জনের মধ্যে ৯ জন সিলেটের জৈন্তাপুর ও ৪ জন গোয়াইনঘাট উপজেলার বাসিন্দা। আটক ব্যক্তিরা হলেন জৈন্তাপুর উপজেলার জৈন্তাপুর গ্রামের ফখরুল ইসলামের ছেলে সাজু আহমদ (২০), একই গ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে সজীব (১৯), বিলাল হোসেনের ছেলে রুহুল (২০) ও ইলালের ছেলে আরিফ (১৯), গুচ্ছগ্রামের জামালের ছেলে মোবারক (১৯), একই গ্রামের আবদুল্লাহর ছেলে রনি (১৯) ও বশিরের ছেলে সোহাগ (১৯), দুলতিপুরের ইব্রাহিম আলীর ছেলে ফখরুল ইসলাম (১৯), শ্রীপুর গ্রামের জামরুলের ছেলে রুবেল (২৫), গোয়াইনঘাট উপজেলার বারহাল গ্রামের আইয়ূব আলীর ছেলে শামীম (২১), একই গ্রামের সিদ্দিক আলীর ছেলে হাবিব আহমদ (২২), শান্তিনগর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ইব্রাহিম (১৯) ও তামাবিলের মতিনের ছেলে নয়ন (১৯)।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি পুলিশকে কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করেননি। আটক ব্যক্তিদের পরিবারের কেউ থানায় নিখোঁজ কিংবা আটকের বিষয়ে জানাননি।