সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫২ অপরাহ্ন

ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২৫ প্রদর্শন করেছেন

স্বাস্থ্যসুবিধা সম্প্রসারণে নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপন করা হলো অক্সিজেন প্ল্যান্ট। জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় গ্লোবাল ফান্ডের আর্থিক সহায়তায় ইউনাইটেড নেশন অর্গানাইজেশন ফর প্রজেক্ট সার্ভিসের (UNOPS) মাধ্যমে এই পিএসএ অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান এর উদ্বোধন করেছেন বলে জানা গেছে। এই কর্মসূচির আওতায় দেশের মেডিক্যাল কলেজসহ মোট ২৯টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপিত হয়েছে। এতে দেশে অক্সিজেনের চাহিদা অনেকটাই পূরণ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। পাবনা জেলায় শুধু ঈশ্বরদীতেই এই প্ল্যান্ট বসলেও উৎপাদিত অক্সিজেন স্থানীয় চাহিদা পূরণের পর সিলিন্ডারের মাধ্যমে অন্যান্য স্থানেও সরবরাহ করতে সক্ষম।

এদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান অক্সিজেন প্ল্যান্ট উদ্বোধন ও ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে হাসপাতালটিকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণের আশ্বাস দিয়েছেন বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আলী এহসান জানান, প্রাকৃতিক বাতাসে অক্সিজেন ২১ ভাগ, নাইট্রোজেন ৭৮ ভাগ এবং অন্যান্য উপাদান রয়েছে ১ ভাগ। প্রেশারের মাধ্যমে প্রাকৃতি থেকে বাতাস সংগ্রহ করে জিওলাইট কেমিক্যালের সাহায্যে নাইট্রোজেনকে শোষণ করে বুস্টার ট্যাংকে জমা হবে। বাতাসের চেয়ে চার-পাঁচ গুণ প্রেশারে অক্সিজেন থাকে। এর চেয়েও ১৫০ গুণ প্রেশারে বুস্টারের মধ্যে সেট করবে। এতে খুব অল্প জায়গায় বেশি পরিমাণে অক্সিজেন থাকতে পারে। এই প্ল্যান্ট থেকে প্রতি মিনিটে ৯৪৫ লিটার অক্সিজেন উৎপাদন হবে। এই অক্সিজেন দুই ভাবে ব্যবহার করা যাবে। একটি হলো বড় বড় সিলিন্ডারে রিফিল করা। আরেকটি পাইপলাইনের সাহায্যে সরাসরি হাসপাতালের ওয়ার্ডে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইনে সাপ্লাই করা যাবে।

উদ্বোধনের পরেও সম্পূর্ণভাবে এখনো কার্যকর করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর রাখার জন্য ডিজেল জেনারেটর বসানো হয়েছে। ডিজেলে খরচ অনেক বেশি, প্রতি ঘণ্টায় ২৫-৩০ লিটার ডিজেল লাগে। এতে খরচ অনেক বেশি পড়বে। আমরা বিদ্যুৎসংযোগের জন্য নেসকোকে চিঠি দিয়েছি। নেসকো পরিকল্পনা ও প্রাক্কলন করে এখানে বিদ্যুতের সাবস্টেশন বসাবে। এর পরই আমরা এই প্ল্যান্টটিকে সম্পূর্ণভাবে পরিচালনা করতে পারব।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ