যুদ্ধে বিপর্যস্ত সুদানে চলমান সঙ্কটের সমাধান খুঁজে বের করার জন্য তুরস্কের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এছাড়া এ বিষয়ে আঙ্কারার সাথে সহযোগিতা ও সমন্বয় করার জন্য নিজেদের সমর্থন নিশ্চিত করেছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের জন্য সুদানে চলমান সঙ্কট সমাধানের জন্য ভ্রাতৃপ্রতিম তুরস্কের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই প্রচেষ্টা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রচারে তুরস্কের অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদারে অবদান রাখে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সুদানে সংঘাতের অবসান ঘটাতে এবং সংকটের একটি ব্যাপক সমাধানের জন্য তুরস্কের প্রচেষ্টা এবং সমস্ত কূটনৈতিক উদ্যোগের সাথে সহযোগিতা ও সমন্বয় করার জন্য তার পূর্ণ প্রস্তুতির কথা নিশ্চিত করেছে।
২০১১ সালে দক্ষিণ সুদান আলাদা হয়ে যাওয়ার পর থেকে সুদানের অর্থনীতি বেশ চাপের মুখে রয়েছে। ওই বিচ্ছেদের ঘটনায় তেলের খনিগুলোর একটা বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ হারায় সুদান। এরপর এখনো থামেনি সংঘাত।
সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্টের (আরএসএফ) অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ে দেশটি এখন মানবিক সঙ্কটের মুখে।
আরব আমিরাত অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো এবং দ্রুত অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ে শত্রুতা বন্ধ করার উপর জোর দিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ক্রমবর্ধমান সংঘাত বন্ধে সকল প্রাসঙ্গিক পক্ষ, আঞ্চলিক অংশীদার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সঙ্কট সমাধানে শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।
গত বছরের আগস্টে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত সুদান থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে মোট ১০ লাখ ১৭ হাজার ৪৪৯ জন মানুষ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। সেসব দেশগুলোও নানা সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
মানবিক সংস্থাগুলো নিরাপত্তার অভাব, লুটপাটের আশঙ্কা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সুদানবাসীর কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে পারছেন না।