একাধিক রপ্তানিকারক বলেন, যুদ্ধ আর উচ্চ মূল্যস্ফীতির ধাক্কা কাটিয়ে আবার তৈরি পোশাকের ব্যবসা ফিরছে। পাশাপাশি চীন থেকেও ক্রয়াদেশ স্থানান্তরিত হতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে আগামী বসন্ত ও গ্রীষ্ম মৌসুমের জন্য ভালো ক্রয়াদেশ পেয়েছে কারখানাগুলো। সব মিলিয়ে রপ্তানি বেড়েছে।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের তিনটি বড় উৎস হলো রপ্তানি আয়, প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এবং বিদেশি বিনিয়োগ ও ঋণ। এর মধ্যে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বাড়লে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কমে। সদ্য সমাপ্ত ডিসেম্বরে ২৬৩ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। এ আয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় প্রায় ৩২ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ দুই বছরের বেশি সময় ধরে ডলার-সংকটে ভুগছে। ফলে ধারাবাহিকভাবে কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভের। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে এসে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ায় রিজার্ভের পতন থামে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গত ২৪ ডিসেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ছিল ২ হাজার ৪৯৭ কোটি ডলারের বেশি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) স্বীকৃত বিপিএম ৬ হিসাব মান অনুযায়ী, দেশের রিজার্ভ এখন ২ হাজার ১৮ কোটি ডলার, যা এক মাস আগে ছিল ১ হাজার ৮৬১ কোটি ডলার।