ইরানের বিচার বিভাগ গতকাল রোববার রাষ্ট্র পরিচালিত একটি মিডিয়ায় প্রচারিত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। মিডিয়াটি দাবি করেছিল, নবী মুহাম্মদের (সা.)-কে অবমাননার অভিযোগে বিখ্যাত ও বিতর্কিত গায়ক আমিরহোসেইন মাগসুদলুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
তাতালুর মৃত্যুদণ্ড সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশ করে সম্প্রচারমাধ্যম জাম-ই জাম। তবে বিচার বিভাগের গণমাধ্যম অফিস এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তাতালুর চূড়ান্ত রায় এখনো দেওয়া হয়নি।
ইরান ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, সম্প্রতি এই গায়ক ‘আইনি ধারায় ছাড়পত্র পাওয়ার যোগ্য’ হয়ে উঠেছেন। ফৌজদারি আদালতের নবম শাখার রায়ে প্রসিকিউটর আপত্তি জানানোর পর তার বিরুদ্ধে ওঠা একটি অভিযোগ খারিজ করা হয়। এরপর মামলা অন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।
২০১৮ সাল থেকে ইস্তাম্বুলে বসবাসকারী ৩৭ বছর বয়সী এই সংগীতশিল্পীকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে তুর্কি কর্তৃপক্ষ ইরানে ফেরত পাঠায়। তখন থেকে তাকে আটক রাখা হয়। তাকে ‘পতিতাবৃত্তি প্রচার’, ‘ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রচার’ এবং ‘অশ্লীল বিষয়বস্তুর’ অন্যান্য অভিযোগসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
মাগসুদলু তার ট্যাটু এবং পপ সঙ্গীতের জন্য বেশি পরিচিত। ২০১৭ সালে তিনি অতি-রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে টেলিভিশনে একটি বৈঠকেও অংশ নিয়েছিলেন।
২০১৫ সালে তেহরান ও বিশ্ব শক্তিগুলোর মধ্যে ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি উন্মোচিত হওয়ার পর এই গায়ক ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সমর্থনে একটি গানও প্রকাশ করেন।