সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৩ অপরাহ্ন

সাবেক এমপি শাহীনের ৪ বছরের কারাদণ্ড, সম্পদ বাজেয়াপ্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ বুধবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ২১ প্রদর্শন করেছেন

দুর্নীতির মামলায় যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারকে চার বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ৩৮ লাখ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার দুপুরে যশোর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক কে এম নুরুল ইসলাম এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের স্পেশাল পিপি মো. সিরাজুল ইসলাম।

জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ মামলা করেন শাহীনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল, তিনি ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। দুদকের তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, তার ট্যাক্স ফাইলে দেখানো সম্পদের পরিমাণ ও দাখিল করা বিবরনির মধ্যে অসামঞ্জস্য রয়েছে।

শাহীন চাকলাদার তার সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেছিলেন, তার মোট সম্পদ ১ কোটি ৯৬ লাখ ২১ হাজার ৪০০ টাকা, যার মধ্যে এক কোটি ১ লাখ ৯১ হাজার ৫১৫ টাকা দেনা ছিল। কিন্তু দুদকের তদন্তে উঠে আসে, তার প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ২০০ টাকা। এর বাইরে ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার সম্পদ গোপন করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি তদন্ত শেষে দুদক তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। ৫ আগস্টে রাজনীতিক পট পরিবর্তনের পর আত্মগোপনে চলে যান শাহীন।

২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর দুদকের  আবেদনের প্রেক্ষিতে শত কোটি টাকা জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শাহীন ও তার পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন; ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা অন্যরা হলেন, শাহীন চাকলাদারের স্ত্রী ফারহানা জাহান মালা, দুই মেয়ে সামিয়া জাহান অন্তরা, মাঈসা জাহান অহনা এবং ছেলে জাবীর চাকলাদার।

আবেদনে বলা হয়, শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে শত কোটি টাকা জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশ ছেড়ে যেতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ যাওয়া বন্ধ করা প্রয়োজন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ