নাটোরের বাগাতিপাড়ায় মধ্যরাতে বিএনপি নেতার বাড়িতে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সোহেল রানাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার মধ্যরাতে উপজেলার ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউনিয়নের ভাটোপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে তাকে প্রিজনভ্যানে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আদালতে নেওয়া হয়।
সোহেল রানা ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ চৌধুরীর জয়ন্তিপুর এলাকার বাড়িতে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই দিন তার বাড়ির জানালা ও দেয়ালে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। পুলিশ ওই ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে দুটি তাজা গুলি ও ৭টি ব্যবহৃত গুলির খোসা উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ১৭ ডিসেম্বর রাতে আব্দুর রশিদ চৌধুরী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেন। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সোহেল রানাকে সোমবার দিবাগত রাতে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে গুলিবর্ষণের ঘটনার ৫৬ দিন পর এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রদল নেতাকে আটক করা হয়। অন্যদিকে সোহেল রানাকে গ্রেফতারে বিএনপি ও ছাত্রদলের একাংশ তার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানাতে থানা এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় তারা সোহেল রানার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সোহেল রানাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শাহারিয়ার মাহামুদ স্বাধীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সোহেল রানাকে পুলিশ ব্যক্তিগত অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। এক্ষেত্রে কারও ব্যক্তিগত অপরাধের দায়ভার সংগঠন নেবে না।
মধ্যরাতে বিএনপি নেতা আব্দুর রশীদের বাড়িতে গুলিবর্ষণের ঘটনার পর সে সময় তার বাড়ির আঙিনা, ইউনিয়ন, পৌর এলাকাসহ পুরো উপজেলায় বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ-সমাবেশ করে জড়িতদের গ্রেফতার দাবি জানিয়েছিলেন।