বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে স্বৈরাচার রেখে পরিপূর্ণ সংস্কার সম্ভব নয়: আমিনুল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১৯ প্রদর্শন করেছেন

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে স্বৈরাচারের প্রেতাত্মাদের রেখে কখনও দেশে পরিপূর্ণ সংস্কার সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।

সোমবার রাজধানীর মেরুল বাড্ডা ডিআইটি প্রজেক্ট মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বাড্ডা থানা বিএনপির কর্মীসভা ও রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আমিনুল হক বলেন, গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসন বাংলাদেশকে ধ্বংস করে গেছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে ফ্যাসিবাদের সেই প্রেত্মাতাদের রেখে কখনও সংস্কার হয় না।

তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত হলেও পরিপূর্ণ স্বৈরাচারমুক্ত হতে পারেনি। পরিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা লাভ করেনি। বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো এখনও পর্যন্ত পরিপূর্ণভাবে পূরণ হয়নি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, এর অন্যতম কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমগুলোতে এখনও পর্যন্ত স্বৈরাচারের প্রেত্মাতারা বসে আছে। সেই আওয়ামী স্বৈরাচারী প্রেত্মাতাদের কারণেই এখনও পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় যড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি।

আমিনুল হক বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের রেখে যাওয়া ধ্বংসস্তূপকৃত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কারের উদ্দেশ্য নিয়েই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফার রূপরেখা দিয়েছেন। সেই রূপরেখার বার্তা আমাদেরকে সারা বাংলাদেশের তৃণমূল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

বাড্ডা থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আবদুল কাদের বাবু’র সভাপতিত্বে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুল হক এমদাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর উপদেষ্টা ড. মাহ্দী আমিন, বিএনপির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক ড. এম এ কাইয়ুম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব মো. মোস্তফা জামান, মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, আকতার হোসেন, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, তহিরুল ইসলাম তুহিন, হাজী মো. ইউসুফ, আফাজ উদ্দিন, শাহ আলম, মাহাবুব আলম মন্টু প্রমুখ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ