ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ইসলামি ব্যাংকিং যাকাত, সদকা ও ওয়াকফের মতো ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করে। এটি দারিদ্র্য দূরীকরণ ও আয় বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
শনিবার সকালে রাজধানীর বাড্ডায় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক ব্যাংকিং, ফিন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্স উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে ইসলামি ব্যাংকিং শুধু মুসলিম দেশেই নয়, বরং যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশেও জনপ্রিয় হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও এটি একটি নির্ভরযোগ্য ও লাভজনক ব্যাংকিং ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত। সারা দুনিয়ায় ১.৮ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যবস্থাপিত হয়।
তিনি আরও বলেন, ইসলামিক ফিন্যান্স একটি ন্যায়সংগত ও নৈতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, যা সুদের পরিবর্তে লাভ-ক্ষতির ভিত্তিতে লেনদেন করে। এটি শুধু মুসলমানদের জন্য নয়; বরং যে কেউ ন্যায়সংগত ও স্বচ্ছ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অংশ হতে পারে।
এতে সভাপতিত্ব করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল কাশেম মিয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. গিয়াস উদ্দীন তালুকদার, সেন্ট্রোল শরীয়াহ বোর্ড ফেলোস ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ শরীফ।