ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের প্রতি সমর্থন বন্ধের জন্য তেহরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি রোববার বলেছেন, ওয়াশিংটনের তেহরানের বৈদেশিক নীতি নির্ধারণের ‘কোনও অধিকার’ নেই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) আব্বাস আরাগচি লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বৈদেশিক নীতি নির্ধারণের কোনও অধিকার নেই।’ পাশাপাশি তিনি আমেরিকাকে ‘ইয়েমেনি জনগণ হত্যা’ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার বলেছেন, ওয়াশিংটন ইয়েমেনের হুথিদের মাধ্যমে লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলের হুমকির অবসানে ‘চূড়ান্ত’ এবং ‘শক্তিশালী সামরিক পদক্ষেপ’ শুরু করেছে। সেইসঙ্গে হুথিদের প্রতি তেহরানের সমর্থন ‘অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে’ বলেও দাবি করেন তিনি।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ইয়েমেনের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণকারী হুথি ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর বিরোধী ইরানপন্থি গোষ্ঠীগুলোর
‘প্রতিরোধ অক্ষ’-এর অংশ।
ইরানের শীর্ষ এই কূটনীতিক আরও বলেছেন, এক সময় ওয়াশিংটন তেহরানের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারত। তবে সেসময় ১৯৭৯ সালে শেষ হয়ে গেছে, যখন ইসলামী বিপ্লব পশ্চিমা-সমর্থিত শাহকে উৎখাত করেছে।
প্রসঙ্গত, ইয়েমেনে ভয়াবহ বোমা হামলায় চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অনেকে। মূলত গাজা নিয়ে ইসরাইলকে হুমকি দেওয়ার পরই ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের অবস্থান লক্ষ্য করে শনিবার (১৫ মার্চ) হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
তথ্যসূত্র: আলআরাবিয়া