বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন

সাত দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে বলা হলো ইউক্রেনীয়দের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশের সময়ঃ শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৭ প্রদর্শন করেছেন

যুক্তরাষ্ট্রে মানবিক সহায়তা প্রকল্পের আওতায় বৈধভাবে অবস্থান করা বিপুলসংখ্যক ইউক্রেনীয়কে সাত দিনের মধ্যে দেশটি ছাড়তে বলা হয়েছে। অন্যথায়, মার্কিন ‘ফেডারেল সরকার তাদের খুঁজে বের করবে।’ গত সপ্তাহে এই নির্দেশনা সংবলিত একটি ই-মেইল পেয়েছেন ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে আশ্রয় নেওয়া বিপুল পরিমাণ ইউক্রেনীয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ সপ্তাহে বৈধভাবে অবস্থান করা ইউক্রেনীয়রা একটি ই-মেইল পান যাতে বলা হয় যে, তাদের ‘স্ট্যাটাস’ বাতিল করা হয়েছে এবং সাত দিনের মধ্যে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে, অন্যথায় ‘ফেডারেল সরকার তাদের খুঁজে বের করবে।’

শুক্রবার মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তর তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ই-মেইলটি ভুল করে পাঠানো হয়েছে এবং ২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণের পর তৈরি করা ‘ইউক্রেনিয়ান প্যারোল প্রোগ্রাম’ বাতিল করা হয়নি। কতজন ইউক্রেনীয় এই ই-মেইল পেয়েছিলেন তা স্পষ্ট নয়।

রয়টার্স গত মাসে জানিয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার ইউক্রেনীয়র অস্থায়ী আইনি মর্যাদা বাতিলের পরিকল্পনা করছে। এই পদক্ষেপ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের অধীনের বিপরীত।

গত বৃহস্পতিবার পাঠানো ই-মেইলটিতে লেখা ছিল, যদি আপনি অবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ না করেন তবে আপনি সম্ভাব্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পদক্ষেপের শিকার হবেন, যার ফলে আপনাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হবে। পুনরায় বলছি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আপনার প্যারোল বাতিল করছে। যুক্তরাষ্ট্রে থাকার চেষ্টা করবেন না।

এই ই-মেইলের পর হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তর শুক্রবার একটি ফলো-আপ নোট ই-মেইল পাঠিয়েছে, যাতে তাদের জানানো হয়েছে যে, আদেশটি ভুল ছিল এবং ‘আপনার প্যারোলের শর্তাবলি আগে যেমন ছিল, তেমনই অপরিবর্তিত রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউক্রেনীয় নারী বলেন, ই-মেইলটি পাওয়ার পর তিনি ‘স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারছিলেন না এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে কাঁদছিলেন।’ তিনি জানান, গত আগস্টে তিনি তার অভিবাসন ‘স্ট্যাটাস’ নবায়ন করেছেন এবং তাকে বলা হয়েছিল, এটি আরও দুই বছরের জন্য বৈধ।

মেইল পাওয়ার পর ওই নারী যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাকে বের করে দেওয়ার ক্ষেত্রে তার কী ভুল থাকতে পারে, তা বোঝার চেষ্টা করছিলেন। তিনি কোনো কারণ খুঁজে পাননি জানিয়ে বলেছেন, আমার একটি পার্কিং টিকিটও নেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করি না।

আইওয়া অঙ্গরাজ্যে ইউক্রেনীয় আশ্রয়প্রার্থীদের অর্থায়ন করা এনজিও আইএ নাইসের সভাপতি অ্যাঞ্জেলা বোয়েলেন্স বলেন, তিনি অন্তত দু’জন মহিলাকে চেনেন যারা এই ই-মেইল পেয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন আবার গর্ভবতী। বোয়েলেন্স বলেন, এটি খুবই ভীতিকর ই-মেইল। আমার পুরো পরিবার সম্পূর্ণ আতঙ্কিত।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ