হুট করে শুষ্ক মৌসুমেই রাজশাহীর চারঘাটের পদ্মা নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা এ ভাঙনে উপজেলার গোপালপুর ও চন্দনশহর গ্রামের কয়েক একর কৃষি জমি নদী গর্ভে বিলীন গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে নদী তীর রক্ষা বাঁধ, ঘর-বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এতে শঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা।
সরজমিনে ভাঙন কবলিত এলাকায় গিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই পদ্মার থাবায় কৃষি জমি ভাঙতে ভাঙতে তীরবর্তী এলাকাবাসী অনেকটা অসহায়। বছরের পর বছর ধরে ভাঙনে সব কিছু হারিয়ে অনেকেই এখন সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়েছেন। সাধারণত বর্ষা মৌসুমে ভাঙন দেখা গেলেও এবার তার ব্যতিক্রম হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে দেখা দিয়েছে ভাঙনের। এতে হুমকির মুখে রয়েছে নদী রক্ষা বাঁধ। বাধটি ভেঙে গেলে বর্ষা মৌসুমে তলিয়ে যেতে পারে নদীর তীরবর্তী চন্দনশহর, গোপালপুরসহ পাঁচ থেকে ছয়টি গ্রাম।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিগত সরকারের সময় পদ্মা নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর দিক পরিবর্তন হয়েছে। ফলে অসময়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে চারঘাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন গোপালপুর গ্রাম ও চন্দনশহর গ্রামের কয়েক একর জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফাটল দেখা দেখা দিয়েছে আরও ১০০ ফুট এলাকায়।
স্থানীয় রফিকুল ইসলামসহ একাধিক মানুষ বলেন, ভাঙন প্রতিরোধে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি আশ্বাস দিলেও গত ১৯ বছরে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিশ্রুতি আশ্বাসের বাণীতেই সীমাবদ্ধ থাকেছে।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ সরকার বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’