বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অভিনেত্রীদের তথাকথিত ‘সাইজ কনসেপ্ট’কে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বিদ্যা বালান। সাধারণত শাড়িতেই বেশি স্বচ্ছন্দ্যবোধ করেন অভিনেত্রী। ছবির খাতিরে অন্য পোশাক পরলেও, যেকোনো ফটোশ্যুট বা প্রচারের ক্ষেত্রে শাড়িকেই এগিয়ে রাখেন তিনি। কিন্তু জীবনের কোনো না কোনো সময় বডিকাউন্ট পোশাক পরে দেখেননি এমনটা নয়। পরেছেন, চেয়েছেন অন্য অভিনেত্রীর মতো যেন তাকে দেখা যায়। কিন্তু বিদ্যার মনে হয়েছে, তাকে নাকি অদ্ভুত দেখাচ্ছে ।
কিন্তু বলিউড তারকাদের পাপারাজ্জিরা যেভাবে ফলো করেন, তাতে এক প্রকার দিনের পুরোটা সময় নিজেদেরকে ব্যস্ত রাখতে হয় পারফেক্ট লুক ধরে রাখা নিয়েই। জিম লুক, এয়ারপোর্ট লুক ছাড়াও আরও কত কী।
ক্যারিয়ারের শুরুতে সকলেই এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে ফেলেন প্রয়োজনের থেকে বেশি। যার জেরে রীতিমত নাজেহাল হতে হয়েছিল অভিনেত্রী বিদ্যা বালানকে।
অভিনেত্রী জানান, তিনি রীতিমত ভয়ে-ভয়ে থাকতেন এয়ারপোর্ট লুক নিয়ে। ঠাকুরকে ডাকতেন, যেন কোনও ফটোগ্রাফার না আসেন।
ভয়ে লুকিয়ে থাকতেন বিদ্যা। যদিও তাতে লাভের লাভ কিছুই হতো না। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ঠিকই ধরা পড়তেন তিনি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবটাই ঠিক হয়ে যায় বলেও দাবি করেন বিদ্যা।
রেড কার্পেটে বেশিরভাগ সময়ই শাড়িতে দাপানো, নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জ। আর সেই চ্যালেঞ্জে বেশ ভালোভাবেই পাশ করেছেন বিদ্যা। ট্রেন্ড সেটার কি বলা যায় তাকে? বিদ্যার উত্তর, ‘আমার কাছে তো কোনো চয়েজই ছিল না। ওসব পোশাকে আমি ফিট হতাম না। আমি একটা জিনিস বুঝতে পারি, হয় সারাজীবন তাদের মতো হওয়ার বাসনা করে যাব আর নয়তো আমি যা তাই হয়েই থাকতে পারব।’
বিদ্যা আরও বলেন, ‘যে মুহূর্তে আমি অন্যের মতো হওয়ার চেষ্টা বন্ধ করে দিলাম, দর্শকও আমাকে আরও কাছ থেকে পেতে চাইল’।
কোনোদিন অন্য কোনো অভিনেত্রীর স্টাইল স্টেটমেন্ট অনুসরণ করার ইচ্ছে হয়নি তার? বিদ্যার সাফ জবাব, ‘আমি চেষ্টা করেছি ওদের মতো পোশাক পরতে। তবে আমাকে অদ্ভুত দেখাত। নিজেও কমফোর্টেবল হতে পারতাম না একেবারেই। আমি খুশি, যা ভালোবাসি তাই পরতে পারি। যা ইচ্ছে তাই করতে পারি। আমি মুক্ত, আমি স্বাধীন। মানুষের কাছে তোমার প্রশংসা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কারণ তারা নিজেরাও বুঝে গেছেন আমার লজ্জা নেই।’