সেশন শেষ হতে বাকি ছিল আর এক ওভার। একটু দেখে শুনে পার করে দেওয়া যেতেই পারত। তৃতীয় দিনের শুরু থেকে জিম্বাবুয়ের বোলিং খেয়াল করে থাকলে সম্ভাব্য অস্ত্রটা কী হতে পারে সেটাও জানা অসম্ভব কিছু ছিল না।
তবে মুশফিকুর রহিম এত কিছুর পরে আউট হলেন টি ব্রেকের ঠিক আগে। সেটাও শর্ট বলে, খোঁচা দিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন স্লিপে। তাতে সেশনটা বাংলাদেশ স্বস্তি নিয়ে শেষ করতে পারল না। ১৫৫ রানে হারাল ৪ উইকেট।
মুশফিকের উইকেটটা না খোয়ালে সেশনটা বাংলাদেশের হতেও পারত। সেশনের শুরু থেকে বাংলাদেশ খেলেছে ইতিবাচক ক্রিকেট। মাহমুদুল হাসান জয় আর মুমিনুল হকের উইকেট খুইয়ে ৯৮ রান, একটা সেশনের জন্য বিষয়টা মন্দ হতো না দলের।
পুরো সেশনে বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দিতে একটা কৌশলই ব্যবহার করেছে জিম্বাবুয়ে। সেটা হচ্ছে শর্ট বল। শুরু থেকেই ব্লেসিং মুজারাবানি, ভিক্টর নিয়াউচি, ওয়েসলি মাধেভেরেরা একের পর এক শর্ট বল করেই গেছেন। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর মাথায় বল লেগেছে অন্তত দু’বার।
শান্ত শর্ট বলটাকে ভালোভাবেই সামলেছেন। শুরু থেকে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলেছেন। অনেকটা ওয়ানডে মেজাজে খেলেছেন ইনিংসের শুরুতে। এরপর যখন ওপাশে মুমিনুল বিদায় নিয়েছেন, তখন ঢুকে পড়েন খোলসে।
তার আগে সেশনের শুরুতে বাংলাদেশ খোয়ায় জয়কে। দিনের সপ্তম ওভারে ব্লেসিং মুজারাবানির শর্ট বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর দলকে ভালোভাবেই এগিয়ে নিচ্ছিলেন শান্ত আর মুমিনুল মিলে। তবে তাদের জুটি ৬৫ রানে ভেঙে যায়। নিয়াউচির অ্যারাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা শর্ট বলে মুমিনুলের গ্লাভসে লেগে চলে যায় উইকেটের পেছনে। ফিফটি থেকে তিন উইকেট দূরে থেকে আউট হন তিনি।
এ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের কৌশলটা ছিল পরিষ্কার। একের পর এক শর্ট বলে নাভিশ্বাস তুলে যাচ্ছিলেন ব্যাটারদের। চা বিরতির একটু আগে মুশফিকও সে ফাঁদে পা দিলেন। মুজারাবানির একটু লাফিয়ে ওঠা বলে মুশফিক ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। আর তাতেই বাংলাদেশ আবারও চলে যায় ব্যাকফুটে।