পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্য আগামী শনিবার সকাল ১০টায় সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার সামনে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। চার্চের সর্বোচ্চ ধর্মীয় ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এ অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেবেন ক্যাথলিক চার্চের কার্ডিনাল কলেজের ডিন জিওভান্নি বাত্তিস্তা রে।
শেষকৃত্যের শেষে তিনি ‘চূড়ান্ত সমর্পণ প্রার্থনা’ পাঠ করবেন, যার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পোপকে ঈশ্বরের হাতে সমর্পণ করা হবে। এরপর পোপের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রোমের সান্তা মারিয়া মেজিওর ব্যাসিলিকায়, যেখানে তাকে সমাহিত করা হবে।
ভ্যাটিকান জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় পোপ ফ্রান্সিসের কফিন সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা থাকবে। শেষকৃত্য পর্যন্ত মানুষ সেখানে এসে শ্রদ্ধা জানাতে পারবে।
৮৮ বছর বয়সি পোপ ফ্রান্সিস চলতি বছরের প্রথমদিকে দুইবার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পাঁচ সপ্তাহ হাসপাতালে ছিলেন। প্রায় এক মাস আগে তিনি হাসপাতাল থেকে ভ্যাটিক্যানের বাসায় ফিরেছিলেন। ইস্টার সানডে উপলক্ষে রোববার সেন্ট পিটার্স স্কয়ারেও হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু তার পরদিন সকালে ভ্যাটিকান তার মৃত্যুর খবর জানায়।
ক্যাথলিক রীতি অনুযায়ী, কোনো পোপের মৃত্যু হলে সাধারণত চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হয়। তবে পোপ ফ্রান্সিস তার জীবদ্দশায় একাধিকবার বলে গেছেন, তিনি চান তার শেষকৃত্যে যেন আড়ম্বর না থাকে।
তাই তিনি হবেন গত এক শতাব্দীর মধ্যে প্রথম পোপ, যিনি ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার নিচে শায়িত না হয়ে রোমের সান্তা মারিয়া মেজিওর ব্যাসিলিকায় সমাধিস্থ হবেন। তিনি একটি সাধারণ কাঠের কফিনে সমাহিত হতে চেয়েছেন, যেখানে অতীতের পোপরা তিন স্তরের (সাইপ্রাস, সীসা ও ওক কাঠের) কফিনে সমাধিস্থ হতেন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজারো মানুষ শোক জানাতে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে জড়ো হতে শুরু করেছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ জানিয়েছেন, তিনি পোপের শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকবেন।
মঙ্গলবার কার্ডিনালদের বৈঠকে পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময়সূচি নির্ধারণ ছাড়াও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা এই কার্ডিনালরাই আগামী মাসে কনক্লেভের মধ্য দিয়ে রোমান ক্যাথলিক চার্চের নতুন প্রধান নির্বাচন করবেন।