বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে স্থান পেয়েছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। দেশের জন্য এমন গৌরব বয়ে আনা এই আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরণ করেছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার তাওহীদ হৃদয়। সেজন্য এই ক্রিকেটারকে শাস্তি দেওয়া হয়ে হলেও পরে তা কমানো হয়। সে ক্ষোভ থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন সৈকত।
তবে বিসিবি তার দেওয়া পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি। সৈকতের সঙ্গে আলোচনার পর হৃদয়ের শাস্তি কমানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।
কিন্তু শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) তামিম ইকবালসহ ক্রিকেটারদের বিসিবি আবার হৃদয়ের শাস্তি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়। হৃদয় এরই মধ্যে তাকে দেওয়া দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার শাস্তির অর্ধেক ভোগ করেছেন। ক্রিকেটারদের দাবির মুখে বাকি এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা আগামী বছর পর্যন্ত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।
তাই এখন ক্রিকেট অঙ্গনে প্রশ্ন, হৃদয়ের শাস্তি নিয়ে বিসিবির নতুন এই সিদ্ধান্তের পর কী আর বিসিবিতে চাকরি করতে সম্মত হবেন আম্পায়ার সৈকত?
এই প্রশ্নের সরাসরি জবাব না মিললেও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সৈকতের মতো আম্পায়ারকে অবশ্যই দরকার বিসিবির। তিনি বলেন, ‘যেহেতু একটা ভুল থেকে আরেকটা ভুল হয়েছে, এতকিছু হলো এখন ক্রিকেটের ভালোর জন্যই সবকিছু করা হবে। সে মনঃক্ষুন্ন হয়েছে একটু, তার মতো আম্পায়ারকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য সবসময় প্রয়োজন। তাকে ফিরিয়ে আনতে চায় বিসিবি।’