বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন

১৫ মের মধ্যে শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩ প্রদর্শন করেছেন

বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ৮ বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের চতুর্থ দিন বুধবার মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তিন চিকিৎসকের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এ নিয়ে মামলাটির ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হলো।

 

মামলাটির যাবতীয় সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা গেলে ১৫ মের মধ্যে রায় ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গেছে। তবে রিমান্ড চলাকালে পুলিশের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে স্বীকারোক্তি আদায়ের অভিযোগ করেছেন মামলাটির প্রধান আসামি হিটু শেখ। তিনি ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়ার বড় বোন হামিদার শ্বশুর।

মাগুরার চাঞ্চল্যকর এ মামলাটির বাদীর এজাহার এবং পুলিশের চার্জশিটে অপরাধ সংগঠনের সময়ের ক্ষেত্রে রাত-দিন ফারাক রয়েছে। ধর্ষণের শিকার শিশুটির মা আয়েশা খাতুনের থানায় দায়েরকৃত মামলাটিতে ঘটনার সময় রাত ১টা ৩০ মিনিট উল্লেখ করা হলেও পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে সকাল ৮টা ২০ মিনিট থেকে সাড়ে ৯টার কথা বলা হয়েছে।

 

এ বিষয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা সরকার পক্ষের আইনজীবীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি কোনো মতামত দিতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, আশা করছি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মামলাটির রায় ঘোষণা করা সম্ভব হবে। রায় ঘোষণা করা হলে তখন সবাই বিস্তারিত জানতে পারবেন।

 

মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৬ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয় শিশু আছিয়া। ১৩ মার্চ ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশুটি।

 

এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে সারা দেশে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে নামেন। স্থানীয় আইনজীবীরাও এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার দাবির পাশাপাশি আসামিপক্ষকে কোনো প্রকার আইনি সহায়তা না দেওয়ার ঘোষণা দেন।

 

মামলার মূল আসামি শিশুর বোনের শ্বশুর হিটু শেখ গত ১৫ মার্চ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। যেখানে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তিনি একাই জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিলেও গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মামলার চার আসামির বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ