সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১১:৪১ অপরাহ্ন

সামাজিক খাতে বরাদ্দ কমিয়ে প্রতিরক্ষায় খরচ বাড়াতে চান ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশের সময়ঃ শনিবার, ৩ মে, ২০২৫
  • ২৫ প্রদর্শন করেছেন

স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতো সামাজিক কর্মসূচিগুলোতে কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটের বরাদ্দ কমাতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পক্ষান্তরে প্রতিরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তায় অতিরিক্ত খরচ করতে চান তিনি। আসন্ন বাজেট প্রস্তাবনায় এমন প্রস্তাব দিয়েছেন দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়া ট্রাম্প। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটের জন্য একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ওই প্রস্তাবনায় প্রতিরক্ষা বহির্ভূত খাতে ১৬ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের ব্যয় কমানোর কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, জলবায়ু ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি। এমনকি ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোবাকো, ফায়ারআর্মস ও এক্সপ্লোসিভের ব্যয়েও কাঁটছাঁট করার পক্ষে মত দিয়েছে তারা।

সামাজিক কর্মসূচিগুলোর খরচ কমিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন পেন্টাগনের জন্য ১৩ শতাংশ অতিরিক্ত বরাদ্দের পক্ষে রয়েছেন। এর ফলে পেন্টাগনের বরাদ্দ গিয়ে ঠেকবে এক লাখ কোটিরও বেশি মার্কিন ডলারে।  যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততায় মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে সবসময় যুদ্ধ লেগে থাকুক, পেন্টাগনের বরাদ্দ বৃদ্ধিতে ট্রাম্পের এমন রূপই ফুটে উঠছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য প্রস্তাবিত এ বাজেট ‘স্কিনি বাজেট’ বলে আখ্যা দিয়েছে হোয়াইট হাউস।

দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় বসেই সরকারি ব্যয়ে ব্যাপক কাঁটছাঁটের কথা জানান ট্রাম্প। সে অনুযায়ী কাজও করছেন তিনি। তবে ক্ষমতায় বসার পর থেকে এখনও বাজেট দিতে পারেননি ট্রাম্প। চলতি অর্থবছরের বাজেটের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। এরপরই ট্রাম্প প্রশাসন নিজেদের ইচ্ছেমতো বাজেট করতে পারবে।

আগামী বাজেটে ২২ দশমিক ছয় শতাংশ ব্যয় কমানো হবে বলে বাজেট প্রস্তাবনায় জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ক্যানসারের মতো মরণঘ্যাতি রোগের চিকিৎসায় গবেষণা চালানো সেন্টার ফর ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের ব্যয়ে ব্যাপক কাঁটছাঁট করা হবে। স্বাস্থ্যসেবা খাতে মাত্র ৫০ কোটি ডলার বাজেট দেওয়া হবে।

সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির বাজেট আগের অর্থবছরের চেয়ে ৬৫ শতাংশ বাড়ানো হবে। ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি ধরে রাখতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

হোয়াইট হাউজের পরিচালক রুসেল ভট কাজ করেন বাজেট নিয়ে। তিনি বলেন, ‘নতুন বাজেটের প্রস্তাবনার মূল উদ্দেশে অপচয় কমানো। আমলাতন্ত্রের ব্যয় কমানো।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন এক সংকটপূর্ণ মুহূর্তে আমাদের ঐতিহাসিক একটি বাজেট দরকার। আমেরিকানদের প্রথম ধাপে রাখবে এমন বাজেটের প্রয়োজন। এবং আমরা তাই করতে যাচ্ছি।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ