সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন

কামান, মর্টারসহ যুদ্ধাস্ত্রের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ সোমবার, ২ জুন, ২০২৫
  • ২১ প্রদর্শন করেছেন

প্রস্তাবিত বাজেটে যে ১১০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে আর্টিলারি উইপন্স বা যুদ্ধাস্ত্র।

এসব যুদ্ধাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন ধরনের বন্দুক, হাওইটজার (এক ধরনের কামান), মর্টার ইত্যাদি। বিদায়ী অর্থবছরে এসব যুদ্ধাস্ত্রের আমদানি শুল্ক রয়েছে ৫ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে এই আমদানি শুল্ক শূন্য শতাংশ করা হয়েছে।

রকেট লাঞ্চার, ফ্লেইম থ্রোয়ারস, গ্রেনেড লাঞ্চার, টর্পেডো টিউব এবং এ ধরনের অস্ত্র আমদানির শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্য অস্ত্রের ক্ষেত্রেও আমদানি শুল্ক শূন্য শতাংশ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সংলাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে যে ৬২৬টি পণ্যে শুল্ক ছাড় দেওয়া হচ্ছে, তার অংশ হিসেবে এসব যুদ্ধাস্ত্রের শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেট বক্তৃতায় বলেন, আমদানি পণ্যের শুল্ক-কর হার পর্যায়ক্রমে হ্রাস করা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য সংলাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ১১০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, ৬৫টি পণ্যের আমদানি শুল্ক হ্রাস, ৯টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার এবং ৪৪২টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তরের (ইউএসটিআর) তথ্য বলছে, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। তার মানে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করে, তার চেয়ে ছয় বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য আমদানি করে থাকে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নতুন ‘রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ নীতির অংশ হিসেবে শতাধিক দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তাতে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় ৩৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্কের মুখোমুখি হবে।

এতদিন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার ছিল গড়ে ১৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে বাংলাদেশি পণ্যে এখন মোট শুল্ক দাঁড়াবে ৫২ শতাংশ।

ট্রাম্প গত ২ এপ্রিল নতুন শুল্কহার তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। তবে নতুন ন্যূনতম শুল্ক ১০ শতাংশ দিতে হচ্ছে, এর সঙ্গে আগের ১৫ শতাংশ শুল্কও রয়েছে।

এই বাড়তি শুল্ক এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চাইছে বাংলাদেশ। তার অংশ হিসেবে যুদ্ধাস্ত্রের ওপর আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হলো।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ