সংসদীয় আসনের সীমানার খসড়া এখনও প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে নির্বাচন কমিশনে বিভিন্ন আসনের বিএনপির নেতারা ভিড় জমাচ্ছেন। তাদের কেউ কেউ নিজ আসনের সংসদের সীমানা বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ সীমানায় পরিবর্তনের কথা বলেছেন। বুধবার এ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে দুই দফায় বিভিন্ন আসনের বিএনপির কয়েকজন নেতা বৈঠকও করেন। তবে সংসদীয় আসনের সীমানার খসড়া বিষয়ে গতকাল কমিশন কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। আজ বৃহস্পতিবার এ নিয়ে কমিশন সভা হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না।

সংসদীয় আসনের সীমানার বিষয়ে গতকাল সিইসির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, যুগ্মমহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খানম রিতা, সাবেক সচিব আব্দুল মতিনসহ বেশ কয়েকজন নেতা।

সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, ১৯৮৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত যেভাবে নির্বাচনি আসন ছিল, সেই অবস্থায় ফিরে যাওয়া আমাদের দাবি। আমরা কমিশনের কাছে সংসদীয় আসনের খসড়া তালিকা প্রকাশের জন্য আবেদন করেছি। নির্বাচন কমিশন আমাদের জানিয়েছে, তারা কাজ করছে। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের আশা পূরণ হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা বৈঠক করিনি। আমরা বিভিন্ন আসন থেকে আমাদের দাবি নিয়ে এসেছি। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, ২০০১ সালে যেভাবে নির্বাচন হয়েছে, যেভাবে আমরা আসনভিত্তিক নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম, এবারও ঠিক সেভাবে এলাকাভিত্তিক আসনগুলো যেন পুনর্বিন্যাস করা হয় সেই দাবি জানিয়েছি।

এদিকে হোমনা ও মেঘনা উপজেলা নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-২ আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার অনুসারীরা। একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সেলিম ভূঁইয়া। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৫৪ সাল থেকে হোমনা-মেঘনা একই আসন ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালের তৎকালীন নির্বাচন কমিশন এটি আলাদা করে। ২০১৮ সালের নির্বাচন পর্যন্ত সেভাবেই ভোট হয়। ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে কুমিল্লা-২ আসনটি ফের আগের মতো করা হয়। অর্থাৎ হোমনা-মেঘনাবাসী পুনরায় এক আসনে চলে আসে। আমরা এই আসন বহাল রাখার দাবি জানিয়েছি।