ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যে একটি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এখনো ২৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রতিবেদন বলছে, হায়দরাবাদ থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে সাঙ্গারেড্ডি জেলার পশামিলারাম শিল্প এলাকায় সিগাচি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ওষুধ কারখানায় ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে প্রায় ১৫ জন রাতে হাসপাতালে মারা যান। সবমিলিয়ে নিহত ৩২।
এনডিটিভি লিখেছে, তেলেঙ্গানার সবচেয়ে ভয়াবহ শিল্প দুর্ঘটনা এটি। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। উদ্ধারকর্মীরা বিস্ফোরণে ধসে পড়া তিন তলা ভবনের ধ্বংসস্তূপে সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন।
নিহতদের বেশিরভাগই বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং ওড়িশার মতো রাজ্য থেকে আসা অভিবাসী শ্রমিক। বিস্ফোরণের সময় কারখানায় ১০৮ জন শ্রমিক ছিলেন। কারখানার প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। বিস্ফোরণে আগুন লেগে যায়।
কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যমতে, ২৭ জন শ্রমিক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাজ্যের দুর্যোগ প্রতিরোধ বাহিনী (এসডিআরএফ), হায়দ্রাবাদ দুর্যোগ প্রতিরোধ ও সম্পদ সুরক্ষা সংস্থা (এইচওয়াইডিআরএ), রাজস্ব এবং পুলিশ ধ্বংসস্তূপ অপসারণ অব্যাহত রেখেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, শ্রমিকরা ছুটে গিয়ে কয়েক মিটার দূরে পড়েন। কিছু মরদেহ টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়ায় ও পুড়ে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করছে।
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী এ. রেবন্ত রেড্ডি মঙ্গলবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন। তিনি একটি সরকারি হাসপাতালে আহতদের সাথেও দেখা করবেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী দামোদর রাজা নরসিংহ সোমবার ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, বিস্ফোরণের কারণ এখনো জানা যায়নি। ৪০-৪৫ বছর বয়সী এই কোম্পানিটি মাইক্রোক্রিস্টালাইন সেলুলোজ তৈরি করে।
শ্রমমন্ত্রী জি. বিবেক বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি কোনো চুল্লি বিস্ফোরণ নয়। এয়ার ড্রায়ার সিস্টেমে কোনো সমস্যার কারণে বিস্ফোরণ ও আগুন লেগেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।