দেশের বিভিন্ন এলাকায় টানা বৃষ্টি হচ্ছে প্রায় দুই দিন ধরে। বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
বৃধবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায়ও ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অফিসের বুধবার সকাল ৯টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি এই চার বিভাগসহ রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুরের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিও হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ফেনীতে, ৩৯৯ মিলিমিটার।
এদিকে রাজধানী ঢাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজও ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় আকাশ মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্নসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঢাকা ও আশপাশের এলাকার জন্য দেওয়া বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে এবং হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঢাকায় দক্ষিণ-পূর্ব বা দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা আগের দিনের মতোই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আর আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৮ শতাংশ। গতকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সকাল ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলো জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বৃষ্টিপাত শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ১-১০ মিলিমিটার বৃষ্টিকে হালকা, ১১-২২ মাঝারি, ২৩-৪৩ মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪-৮৮ ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিকে অতি ভারি বৃষ্টি বলা হয়। এই হিসাবে ঢাকায় গত ২৪ ঘণ্টার ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি ‘ভারি বৃষ্টি’ হিসেবে চিহ্নিত।