টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরাট কোহলির হঠাৎ বিদায় নিয়ে গত তিন মাস ধরে নানা গুঞ্জন চলছিল। কেউ বলছিলেন, ভেতরের রাজনীতিই এর কারণ। আবার কারও মতে, ফর্মে না থাকায় নিজেই সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে এবার সব জল্পনার অবসান ঘটালেন কোহলি নিজেই।
এক অনুষ্ঠানে এসে হেসে বললেন, ‘দুদিন আগে দাড়িতে রঙ দিয়েছি। যখন দেখবেন চার দিন পর পর দাড়িতে রঙ দিচ্ছেন, তখন বুঝবেন সময় হয়ে গেছে।’
৩৬ বছর বয়সে টেস্ট ছাড়েন কোহলি, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ শুরুর আগেই। তখন তার রান ৯২৩০। মাত্র ৭৭০ রান দূরে ছিলেন ঐতিহাসিক ১০ হাজার রানের মাইলফলক থেকে। সেঞ্চুরির গড়ও ছিল প্রায় ৫০-এর কাছাকাছি। ইংল্যান্ডের সহায়ক পিচে খেললে এই গড়ও ৫০ ছাড়াতে পারতো। কিন্তু এসব কিছুর পরও টেস্টকে বিদায় জানান তিনি।
কোহলির এমন ক্যারিয়ার অবশ্য একজনের সান্নিধ্যে না এলে হতোই না, বিশ্বাস তার। তিনি সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রী। তার সম্পর্কে কোহলি বলেন, ‘আমি যদি ওর (শাস্ত্রী) সঙ্গে না কাজ করতাম, তাহলে টেস্ট ক্রিকেটে যা হয়েছে, তা সম্ভব হতো না। আমাদের মধ্যে যে পরিস্কার বোঝাপড়া ছিল, সেটা সব ক্রিকেটারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ও আমাকে যেভাবে আগলে রেখেছে, মিডিয়ার সামনে দাঁড়িয়ে যা বলেছে, তার জন্য আমি সবসময় ওর প্রতি সম্মান রাখি। আমার ক্রিকেট জীবনের বিশাল অংশ জুড়ে আছে সে।’
তবে কোহলির এসব কীর্তি এখন অতীত। যদিও তার অনুপস্থিতি এখনো খুব একটা টের পাচ্ছে না ভারত। কারণ নতুন টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে শুবমান গিল যেন অসাধারণভাবে সেই জায়গা পূরণ করছেন। শুধু বার্মিংহাম টেস্টেই করেছেন ৪৩০ রান, যা এক ম্যাচে কোনো ভারতীয় ব্যাটারের সর্বোচ্চ রান। সিরিজে এখনো পর্যন্ত করেছেন তিনটি সেঞ্চুরি, গড় ১৪৬.২৫! এবার তার সামনে চ্যালেঞ্জ এই ছন্দ লম্বা সময় ধরে রাখার, কোহলিও কিন্তু তাই করেছিলেন।