শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০১:১৪ পূর্বাহ্ন

ময়মনসিংহ বোর্ড: পাশের হার ৫৮.২২ শতাংশ, জিপিএ প্রাপ্তিতে মেয়েরা এগিয়ে

প্রতিবেদকের নামঃ
  • প্রকাশের সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ২০২৫
  • ৩ প্রদর্শন করেছেন

ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হার শতকরা ৫৮ দশমিক ২২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৬৭৮ শিক্ষার্থী।

পাশের হারে গত বছরের চেয়ে ফলাফলে ২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ কম। গতবার পাশের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৩ হাজার ১৭৬ জন। যা চলতি বছরের চেয়ে ৬ হাজার ৪৯৮ জন বেশি।

ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শহিদুল্লাহ জানান, বোর্ডের

১ হাজার ৩২৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৫ হাজার ৫৫৮ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৬১ হাজার ৪৫৬ জন। এরমধ্যে ৫৩ হাজার ৭৭২ ছেলের মধ্যে পাশ করেছে ২৯ হাজার ৬১২ এবং ৫১ হাজার ৭৮৬ মেয়ের মধ্যে পাশ করেছে ৩১ হাজার ৮৪৪ জন।

তিনি আরও বলেন, বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগে ৩৪ হাজার ৬১৬ জন, মানবিক বিভাগে ২৪ হাজার ৪২ জন এবং ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ২ হাজার ৭৯৮ পরীক্ষার্থী পাশ করেছে।

ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত বছরের চেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এবার ১৫টি বেশি হলেও অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৬৮০ জন কম ছিল এবং ৩৯ হাজার ৭০২ শিক্ষার্থী কম পাশ করেছে। এ বছর বিজ্ঞান বিভাগে ১২ হাজার ৪৩৭ জন, মানবিক বিভাগে ৬১৮ জন এবং ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ১২১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগে পাশের হার ৯২ দশমিক ৭৩ শতাংশ, মানবিক বিভাগে ৮০ দশমিক ২১ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৮৫ দশমিক ১৬ শতাংশ।

এছাড়া এবারো জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। ৩ হাজার ১২৬ জন ছেলে ও ৩ হাজার ৫৫২ জন মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে।

শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পাশের হার জামালপুর জেলায় ৬০ দশমিক ১৯ শতাংশ, শেরপুর জেলায় পাশের হার ৫৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ, ময়মনসিংহ জেলায় পাশের হার ৫৭ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং নেত্রকোনা জেলায় ৫৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

গত বছর জামালপুর জেলায় পাশের হার ছিল ৮৯ দশমিক ০৯ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ, শেরপুরে ৮৩ দশমিক ২২ শতাংশ এবং নেত্রকোনায় ৮২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এতে দেখা যায়, বোর্ডের চার জেলায় পাশের হার অনেক কমেছে। এবার ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছে এবং ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ অকৃতকার্য হয়েছে।

শহিদুল্লাহ জানান, এ ফলাফলে আমরা সন্তুষ্ট না। আমরা সব সময় চাই, শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করুক। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গুণগতমান নিশ্চিত করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। আগামীতে লেখাপড়ার মান বাড়ানো ও ফলাফল বৃদ্ধিতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ