শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১০:১১ অপরাহ্ন

হত্যাসহ ২১টি মামলার আসামি ও শীর্ষ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী এবং ডাকাত শফি বিপুল পরিমাণ অস্ত্র- গোলাবারুদ ও গ্রেনেডসহ আটক ।

‎শহীদুল ইসলাম শাহেদ, টেকনাফ
  • প্রকাশের সময়ঃ মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫
  • ৬১ প্রদর্শন করেছেন

‎র‌্যাব-১৫, শীর্ষ সন্ত্রাসী ডাকাত শফিকে ধরতে দীর্ঘ এক মাস ধরে গোপনে নজরদারি ও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফের হ্নীলা নয়াপাড়া মোছনী রেজিস্টার্ড ক্যাম্প-২৬ এর পশ্চিম পাশে হাজীর প্রজেক্ট পাহাড়ের পাদদেশে ডাকাত শফি ও তার সহযোগীরা অবস্থানের গোপন সংবাদ প্রাপ্তির পরে র‌্যাব-১৫ এর (সিপিসি-২) হোয়াইক্যং ক্যাম্পের চৌকস একটি আভিযানিক দল গত ২৮জুলাই রাত ১১টায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে র‌্যাব সদস্যরা ধাওয়া দিয়ে৷ সি-ব্লকের দিল মোহাম্মদের পুত্র শফি ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় তার সহযোগীরা শফি ডাকাতকে ছিনিয়ে নিতে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে ৪/৫ রাউন্ড গুলি চালায়, তৎক্ষণাত র‌্যাব সদস্যরা বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে আত্মরক্ষার্থে পাল্টা ৩ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে ।

‎পরে গহীন পাহাড়ি আস্তানা থেকে ডাকাত শফির দেয়া তথ্য অনুযায়ী ১টি ওয়ান শুটার গান, ২টি একনলা বন্দুক,১টি এলজি,১০টি এন্টি পারসোনাল মাইন,১০টি ডেটোনেটর,৫০টি তাজা রাইফেলের গুলি, ৫৩ টি রাইফেলের খালি কার্তুজ,৬টি শর্ট গানের খালি কার্তুজ,৭৬৯গ্রাম আইস এবং ৩টি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়।

‎ডাকাত শফির নামে ২টি হত্যা, ২টি ডাকাতির প্রস্তুতি, ৬টি অস্ত্র, ৬টি মারামারিসহ মোট ২১টি মামলা রয়েছে। শফি দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় একটি দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারী ডাকাত দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল। তার নেতৃত্বে ডাকাত দল ক্যাম্প এলাকার রোহিঙ্গা ও বাঙালিদের জিম্মি করে রাখত এবং পাহাড়ি অঞ্চলজুড়ে একটি ত্রাসের সাম্রাজ্য গড়ে তোলে।

‎ধৃত আসামি শফি ডাকাতকে আটক পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডের থানায় হস্তান্তর প্রক্রীয়াধীন

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ