পেহেলগামে হামলার পরেই পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার কথা জানিয়েছিল ভারত। পাল্টা পদক্ষেপ হিসাবে গত ২৪ এপ্রিল ভারতের সব বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান।
আর এই সিদ্ধান্তের দু’মাসে প্রায় ৪১০ কোটি রুপি খুইয়েছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ‘ডন’।
প্রতিবেদন অনুসারে, সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দেশটির আইনসভার নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে জানায়, ২৪ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত প্রায় ৪১০ কোটি রুপির রাজস্ব হারিয়েছে পাকিস্তান।
পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অবশ্য জানিয়েছে, বিষয়টিকে আর্থিক লোকসান হিসাবে না-দেখে কম রাজস্ব আদায় হিসাবে দেখানো উচিত।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, আর্থিক লাভ-ক্ষতির তুলনায় দেশের সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় প্রতিরক্ষার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
একটি দেশের বিমান অন্য দেশের আকাশপথ ব্যবহার করলে ‘ওভারফ্লাইং রেভেনিউ’ বাবদ টাকা দিতে হয়। পাকিস্তানের মতো অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভোগা দেশের কাছে এই রাজস্ব সরকারি কোষাগারের হাল ফেরানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
২০১৯ সালে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পরও নিজেদের আকাশসীমা দিয়ে ভারতের বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল পাকিস্তান। সে বার ২৩৫ কোটি টাকার লোকসান হয়েছিল তাদের। পরে অবশ্য ফের আকাশসীমা খুলে দেয় তারা।
এবার অবশ্য এখনও পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বদল করেনি তারা। ফলে পথ ঘুরে পশ্চিম এশিয়া কিংবা ইউরোপের বহু দেশে যেতে হচ্ছে ভারতের বিমানগুলোকে। এতে বাড়ছে জ্বালানির খরচ, সময়ও।
ভারতও পাকিস্তানের বিমানগুলোর জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের মেয়াদ বাড়িয়ে ২৩ আগস্ট করেছে।